খেলাধুলা

ইংল্যান্ডের সামনে প্রোটিয়াদের ২২৯ রানের পাহাড়

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের হাতের ব্যাট যেন টেনিসের এক একটি র্যাকেট, আর বল যেন টেনিস বল- ইচ্ছামত যে দিকে ইচ্ছে সেদিকে ঘুরিয়ে মারছে। ইংলিশ বোলারদের পরিণত করেছে স্রেফ গলির বোলারে। ফলে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের টর্নেডো ইনিংসের সামনে উড়ে গেলো ইংলিশ বোলাররা। টস হেরে ব্যাট করতে ইংল্যান্ডের সামনে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা এবং জেপি ডুমিনির তিনটি ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি, ডেভিড মিলারের ১২ বলে ২৮ রানের টর্নেডো ইনিংসই ইংলিশদের সামনে এতবড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন কুইন্টন ডি কক। ৫২ রান করে আউট হন তিনি। হাশিম আমলা করেন ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি। তিনি আউট হন ৫৮ রান করে। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন জেপি ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া মিডল অর্ডারন। বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে আরও কয়েকদিন আগে। তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে আজই প্রথম মাঠে নামলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হেরে যেন তেতে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। ফলে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ওপরই যেন সেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্ত যে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের কোনমতেই সঠিক হয়নি, সেটা প্রমাণ করে দিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি কক। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের ওপর রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দেন তারা দু’জন। ৩ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেন তারা। এরপর ৫ ওভারেই তোলেন ৭২ রান। শেষ পর্যন্ত ৭.১ ওভারে ৯৬ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা দু’জন। ৮ ওভারেই ১০০ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তখনই মনে হয়ছিল, কোথায় গিয়ে যে থামে প্রোটিয়ারা। তবে মাঝে ডি ভিলিয়ার্স ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও আউট হয়ে গেলে, কিংবা ১৭ বলে ১৭ রান করে ডু প্লেসিস আউট হলে রানের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। তবে শেষ মুহূর্তে ডুমিনি আর ডেভিড মিলার আবার ঝড় তোলেন। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে প্রোটিয়ারা।ইংলিশ বোলারদের মধ্যে মঈন আলি নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি এবং আদিল রশিদ।আইএইচএস/এমএস

Advertisement