ম্যাথিয়া অ্যালানস্মিথ আর দশজন সাধারণ বৃদ্ধার মতো নন। তিনি হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী, যিনি পুরো ম্যারাথন সম্পন্ন করেছেন। ২০২২ সালে ম্যাথিয়া যখন হনোলুলু ম্যারাথনের শেষপ্রান্ত স্পর্শ করেন, তখন তার বয়স ছিল ৯২ বছর ১৯৪ দিন। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে ম্যারাথন সম্পন্ন করার বিশ্বরেকর্ড নিজের করে নেন তিনি।
Advertisement
ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর টানা ১০ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট দৌড়ে ম্যারাথনের ৪২ দশমিক ১ কিলোমিটার রুট শেষ করেছিলেন ম্যাথিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের বাসিন্দা এ নারীর বয়স এখন ৯৩ বছর।
আরও পড়ুন>> বাবা-মা, ৭ ছেলে-মেয়ের জন্মদিন একই তারিখে
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, এই মার্কিন বৃদ্ধা এখনো সপ্তাহে ছয়দিন দৌড়ে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেন। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন- ঝড়, বৃষ্টি, রোদ কোনো কিছুই তাকে বাইরে দৌড়ানো থেকে আটকাতে পারে না। প্রতি সপ্তাহে এভাবে প্রায় ৫৮ কিলোমিটার দৌড়ান এ নারী।
Advertisement
পেশায় একসময়ে চিকিৎসক ছিলেন ম্যাথিয়া। কিন্তু ৪৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি দৌড়ানো শুরুই করেননি।
আরও পড়ুন>> এক অনুষ্ঠানে ৪২৮৬ জনের বিয়ে!
বৃদ্ধা বলেন, এক সহকর্মী আমাকে দিনে দুই মাইল দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৭৭ সালে দৌড়ানো শুরু করি এবং এরপর বাইরে ব্যায়াম করার প্রেমে পড়ে যাই।
ম্যাথিয়া প্রথমবার ম্যারাথনে অংশ নেন ১৯৮২ সালে বোস্টনে। বাকিটা শুধুই ইতিহাস। তবে যে জায়গায় দৌড়ে বিশ্বরেকর্ডে নাম লিখেছেন, সেটির ওপর আলাদা টান রয়েছে এ বৃদ্ধার।
Advertisement
আরও পড়ুন>> হাই হিল পরে দ্রুততম ১০০ মিটার, গিনেস বুকে স্প্যানিশ যুবক
তিনি বলেন, হনোলুলু ম্যারাথন আমার সবচেয়ে প্রিয়। কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পরেই গেট বন্ধ করে দেয় না। ধীরগতির দৌড়বিদদেরও দৌড় শেষ করতে দেয় তারা।
৯৩ বছর বয়সী ম্যাথিয়া জানিয়েছেন, বয়স বাড়লেও থেমে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার। যতদিন পারেন দৌড়াতে চান।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে অর্ধেক ম্যারাথন দৌড়ানো এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে ১০ কিলোমিটার দৌড়ানোর বিশ্বরেকর্ডও নিজের করে নিতে চান তিনি।
Congratulations to Mathea Allansmith, who has become the oldest woman to finish a marathon.https://t.co/wcvvLa8ZNy
— Guinness World Records (@GWR) August 2, 2023ম্যাথিয়া জানান, দৌড়ানোর বিষয়ে ছয় সন্তানই তার সবচেয়ে সমর্থক। তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর সন্তানেরা প্রত্যেকেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন>> ৩০ সেকেন্ডেই শেষ এক গ্রামের ভোট!
দৌড়ানো ছাড়া আর কী কী করেন ম্যাথিয়া। বৃদ্ধা জানান, আমি গাড়ি চালাচ্ছি, বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করছি। দৌড় ট্র্যাক করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো নতুন নতুন জিনিস শিখছি। আর দুঃসাহসিক ভ্রমণে বেরোচ্ছি।
কেএএ/