টু হুইলারের জগতে জনপ্রিয় দুই নাম হলো হিরো ও হোন্ডা। জাপানি সংস্থা হোন্ডা এবং ভারতের হিরো একের পর এক বাইক এনে গ্রাহকদের মন ভরাচ্ছে। নব্বই দশকের এই দুই সংস্থার জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই দুই সংস্থা যখন এক ছিল তখন এর জনপ্রিয়তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি কেউই।
Advertisement
১৯৮৩ সালে জয়েন্ট ভেঞ্চারের একটি প্রস্তাব রাখা হয়। যার অন্তর্গত ১৯৮৫ সালে নিউ দিল্লিতে স্থাপিত হয় হিরো হোন্ডা। ২০০১ সালের মধ্যে পৃথিবীর বড় বড় দু চাকা সংস্থাগুলোকে ছাপিয়ে যায় হিরো হোন্ডা। জাপানের প্রযুক্তি এবং কর্মঠ ভারতীয়দের দক্ষতার মিশেলে এক অপ্রতিরোধ্য জুটি তৈরি হয়। কিন্তু এই চির অটুট সম্পর্কে তিক্ততা জন্মায় ২০১০ সালের পর পর। ভেঙে যায় ২৬ বছরের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: ভাঁজ করে যেখানে খুশি নিতে পারবেন ই-বাইক
সেসময় হিরোর জনপ্রিয়তা ভারতে তুঙ্গে। তবে দেশে বাড়তে থাকা চাহিদার ভাগ নিতে হোন্ডাও ভিন্ন পরিকল্পনা শুরু করে দেয়। জনবহুল দেশের এই বিরাট মোটরসাইকেল বাজারে পা জমাতে শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বীতা। অতঃপর ব্যবসা আলাদা করে ফেলে তারা।
Advertisement
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সময় বাইকের রপ্তানি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। হিরো হোন্ডার উচ্চ আধিকারিকরা হোন্ডার পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারছিলেন না। কারখানার এবং বাইকের সংখ্যা বাড়াতে চেয়েছিল হিরো হোন্ডা। কিন্তু সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয় হোন্ডা। কিন্তু এরই মধ্যে পৃথক সংস্থা হিসেবে বেশ নাম করে ফেলেছে হোন্ডা। অবশেষে ২০১১ সালে আলাদা হয়ে যায় হিরো মটোকর্প এবং হোন্ডা মোটরসাইকেল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement