দেশজুড়ে

ব্যবহারিকের নম্বর পেয়ে এসএসসি পাস করলো ১৮ শিক্ষার্থী

অবশেষে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩ শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাস দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয় থেকে ফলাফলের বিষয়টি জানানো হয়।

Advertisement

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তবে বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৩ শিক্ষার্থীর আইসিটির ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল অকৃতকার্য আসে।

কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ.এম.এ. সালাম বলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিধি অনুসারে নম্বরপত্র না পাঠানোর কারণে ২৩ জন ছাত্র এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে। পরে আজ দুপুরে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

ফলাফলে দেখা গেছে ২৩ জন ছাত্রের মধ্যে ১৮ জন সকল বিষয়ে পাস করেছে। আইসিটি বিষয়ে ২৩ শিক্ষার্থীই এ প্লাস পেয়েছে। তবে ওই ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন অন্য বিষয়ে ফেল করেছে। কৃতকার্যদের মধ্যে ১ জন জিপিএ-৫, পাঁচ জন এ গ্রেড ও বাকিরা এ মাইনাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

Advertisement

ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী। তিনি বলেন, আইসিটি বিষয়ে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ হলে ওই শিক্ষার্থীরা পাস করেছে। তবে কয়েকজনের অন্য বিষয়গুলোয় ফেল থাকায় তাদের রেজাল্ট আসেনি।

তিনি আরও বলেন, ফলাফল অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে কাহালু তাইরুনেচ্ছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফলের হার্ডকপি বোর্ডে পাঠিয়েছিলেন। তবে কম্পিউটারে কোনোভাবে নম্বরগুলো দাখিল করা হয়নি। এ ঘটনায় পরিদর্শনে যাবো। প্রকৃতপক্ষে কারো গাফলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৮ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ২৩ জন। শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

ওই পরীক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল একই উপজেলার কাহালু তাইরুনেচ্ছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে খোঁজ নিলে জানা যায়, পরীক্ষার্থীদের পাওয়া ব্যবহারিক নম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সঙ্গে যোগই করা হয়নি।

Advertisement

এফএ/এমএস