বাফুফের কার্যক্রমে অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার পর ফিফা গত ১৪ এপ্রিল দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগকে। তার তিনদিন পর জরুরি সভা করে বাফুফে।
Advertisement
বাফুফেও আবু নাইম সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ফিফার অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে। প্রায় তিন মাস পর সেই কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে আজ (রোববার) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কাছে।
বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন তাৎক্ষণিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘মিনিট পাঁচেক আগে আমি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। আমি প্রথমে ধন্যবাদ দেই কমিটিকে, যারা দীর্ঘ সময় কষ্ট করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আমাকে দিয়েছে। এখন আমরা দ্রুত একটি নির্বাহী কমিটির সভা ডাকবো। সেই সভায় প্রত্যেকে প্রতিবেদন দেখবে। তারপর মতামত দেবে। সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে।’
সিলগালা এই প্রতিবেদন কি সরাসরি ইসি কমিটির সভায় খোলা হবে, নাকি আপনি আগে পড়ে দেখবেন? বাফুফে সভাপতির জবাব, ‘অবশ্যই আমি আগে পড়বো। তারপর নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করবো।’
Advertisement
এর আগে তদন্ত কমিটি প্রধান বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ প্রতিবেদন জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক মিডিয়া ব্রিফিং করেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে কি আছে তা বলতে রাজি হননি।
তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল একটি প্রতিবেদন তৈরি করা। নির্বাহী কমিটি আমাদের সে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিবেদন জমার মধ্যে দিয়ে আমাদের কাজও শেষ হলো। এখন এ বিষয়ে যে কোনো বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাহী কমিটির।’
৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল কমিটিকে। সেখানে সময় লেগেছে প্রায় তিন মাস। সময় বেশি লাগলেও যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে কমিটি তাতে খুশি কাজী নাবিল আহমেদ, ‘আমরা নিজেদের মতো করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিয়েছি। আমরা এখন নির্ভার।’
এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে মূলত ফিফা কর্তৃক আনীত অভিযোগগুলোর ওপর ভিত্তি করে। ‘ফিফা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছে আমরা সেগুলোর অধিকতর তদন্ত করেছি। এর বাইরে আমরা বেশি যাইনি। আমরা কিছু সুপারিশ করেছি। সবকিছুই জানতে পাবেন যখন নির্বাহী কমিটি এই প্রতিবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়’-বলেছেন কাজী নাবিল আহমেদ।
Advertisement
তদন্ত কমিটি যে সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে বাফুফে আগামীতে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে বলেও মনে করছেন তদন্ত কমিটি প্রধান।
আরআই/এমএমআর