বিনোদন

মদের নেশা নিয়ে রজনীকান্তের অকপট স্বীকারোক্তি

দক্ষিণী সিনেমার সুপার স্টার রজনীকান্ত। শক্তিমান এ তারকা বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে নিজের জীবন শুরু করেছিলেন। পরে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রেখে হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। রজনীকান্তের জীবন ও তার উত্থান যেন রূপকথার মতো। কোনো অংশে রূপকথাকেও হার মানিয়ে দেয়।

Advertisement

রজনীকান্তের প্রতিটি সিনেমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বলিউডের বড় বড় নায়কদের ভিড়ে রজনীকান্ত আজও তার ক্যারিশমা দেখিয়ে স্বমহিমায় রাজত্ব করছেন। তবে তাই তারকার একটি বদ অভ্যাস ছিল, মদ পানের অভ্যাস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই রজনীকান্ত স্বীকার করলেন সেই কথা।

আরও পড়ুন: সিনেমা ফ্লপ, হল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেবেন রজনীকান্ত

শুধু সিনেমা কিংবা অভিনয় নয়, রজনীকান্তের জীবনও অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। নিজের জীবন নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি আলোচনা করেন রজনীকান্ত। এবারও এক সাক্ষাৎকারে তার মদের নেশা নিয়ে নিজেই বললেন তিনি।

Advertisement

মদের নেশা প্রসঙ্গে রজনীকান্ত বলেন, যদি আমার জীবনে মদ না থাকতো তাহলে অনেক আমি সমাজের আরও ভাল কাজ করতে পারতাম। অ্যালকোহল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমি বলছি না যে আপনি মদ একেবারেই খাবেন না। কিন্তু প্রতিদিন খাওয়া মোটেই উচিত নয়। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এটি মনেরও ক্ষতি করে।

আরও পড়ুন: ১৭০তম সিনেমা নিয়ে আসছেন রজনীকান্ত

রজনীকান্ত অবশ্য এই প্রথমবার নয়। এর আগেও নিজের অ্যালকোহল আসক্তির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, যখন আমি কন্ডাক্টর ছিলাম তখন প্রতিদিন মদ খেতাম। প্রচুর সিগারেট খেতাম। আমার দিন শুরু হত আমিষ খাওয়ার দিয়ে। সারাদিনে অন্তত দুবার কোনো না কোনো আমিষ খাবার খেতাম আমি। নিরামিশাষীদের দেখে আমার করুণা হত। কিন্তু এ তিনটি জিনিস শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।

তবে রজনীকান্তের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসেন তার স্ত্রী। ভালোবাসা দিয়ে তার অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে দেন স্ত্রী লতা। নিজের ৫০তম জন্মদিনে একটি জনপ্রিয় তামিল অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন রজনীকান্ত।

Advertisement

সেখানে তিনি বলেন, যিনি তার সঙ্গে তার স্ত্রী লতার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তার কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। মদ, সিগারেট এবং আমিষ খাবার বেশি খেলে ৬০ বছর বয়সের পরে সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব নয়। এমনটাই মত সুপারস্টার রজনীকান্তের। রজনীকান্তের এ সাক্ষাৎকার নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

এমএমএফ/জিকেএস