দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে দলীয় কর্মসূচি পালনকালে সেখান থেকে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর জানা যায়, তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিনিধি দল। তারা আমানকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুসের প্যাকেট তুলে দেন।
Advertisement
এরপর শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে আমানউল্লাহ আমান ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, খাবার পাঠানো এসব ‘নাটক’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার-ফল-জুস দেওয়া হলো আমানকে
আমানউল্লাহ আমান বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকার সময় ওষুধ দিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এমন সময় কে বা কারা দেখতে এসেছিল এবং ফলের ঝুড়ি দিয়ে গেছে তা বুঝতে পারিনি।
Advertisement
চলমান আন্দোলনে তার ভূমিকার পিঠে ছুরি মারার জন্য এবং নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে আছি। এতে মৃত্যু হলেও পিছপা হবো না।
আরও পড়ুন: কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে: গয়েশ্বর
এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
Advertisement
এর আগে কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী ধস্তাধস্তিতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আমান। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
কেএইচ/জেডএইচ/জেআইএম