জাতীয়

সহিংসতামুক্ত হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

সহিংসতামুক্ত হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে এটিই আমাদের প্রত্যাশা। আর তাহলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ আশা প্রকাশ করেন ইইউ’র মানবাধিকারবিষয়ক এই বিশেষ প্রতিনিধি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে আমি কোনো রাজনৈতিক মতামত দেবো না। কিন্তু যখন কেউ নির্বাচনের কথা ভাবে, তখন শুধু ভোটের দিন কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করে না, নির্বাচনের পরিবেশ কী হবে তা নিয়েও ভাবে। আমরাও তাই ভাবছি। অনুসন্ধানমূলক মিশন ঠিক সেই বিষয়টিই দেখছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিনভর সংঘর্ষ: ৯০ নেতাকর্মী আটক, ২০ পুলিশ আহত

ইমন গিলমোর আরও বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশের বেশিরভাগ নির্বাচনই সহিংসতা ছাড়া হয়। রাজনীতির বৈশিষ্ট্যই হলো গণতান্ত্রিক সম্পৃক্ততা। আর এর মাধ্যমে জনগণ তাদের পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও সম্মানজনক করে তুলে। এরপর ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্ত নেয়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি অনুসন্ধানমূলক মিশন শেষ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে তারা এ সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত বলতে পারছেন না। কারণ তারা মিশনটির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যার ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর জন্য আরও বড় ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে দেশের আরও কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাতুয়াইলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ

Advertisement

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলেছি। এই আইন মূলত কীভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক সমাজের কার্যক্রমকে সীমিত করছে তা নিয়ে মত প্রকাশ করেছি আমরা। ডিএসএ সংশোধনের বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করেছে। অতি দ্রুতই তা সংশোধনের জন্য আমলে নেবে সরকার। আমরা আশা করি এটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি করবে। তবে আমরা দেখবো কী ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে।

শ্রম অধিকার ইস্যুতে গিলমোর বলেন, এই ক্ষেত্রে আমরা কিছু উন্নতি দেখতে চায়। শ্রম অধিকার ও বাণিজ্য বিষয়ে অগ্রাধিকারের পুরো পরিবেশটি পরিবর্তিত হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে বৈঠকগুলোতে আমি এসব বিষয় তুলে ধরেছি। গত চার বছরে বিশ্বব্যাপী বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে এটি একটি। এটাই আমি দেখেছি।

আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম