জাতীয়

বিএনপি কর্মীদের উসকানিতে ধোলাইখালে সংঘর্ষ: পুলিশ

রাজধানীর নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখ) মোড়ে অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও এর বদলে ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের অধিকাংশের হাতে ছিল বাঁশ ও প্লাস্টিকের পাইপে বাঁধা জাতীয় পতাকা।

Advertisement

ধোলাইখাল মোড়ে রাস্তার ডান দিকে পঞ্চাশের মতো পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা পুলিশের একেবারে সামনে চলে এলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

সরেজমিনে দেখা য়ায়, এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ঘ শুরু হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।বিএনপি নেতাকর্মীরা বিপরীত দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এভাবে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে।

সংঘর্ষের শুরুতেই বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। আহতও হন অনেকে।

Advertisement

সেখানে পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হওয়া কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও আহত হন সূত্রাপুর থানার এসআই নাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

আরও পড়ুন: ধোলাইখালে শটগানের গুলিতে আহত ৬ জন ঢামেকে

সংঘর্ষে আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি মোড়ের একটি দোকানের সাটার লাগিয়ে ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিষয়ে পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে দেখে উসকানি দিতে থাকে। এর এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

Advertisement

জেএ/এমএইচআর/এমএস