ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভকে একের পর এক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো তাইওয়ান। দেশটিকে বড় অংকের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাইওয়ানের জন্য ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের প্রতি আরও সমর্থন বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এই প্যাকেজের আওতায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা সামগ্রী, সামরিক শিক্ষা এবং অনুশীলনের বিভিন্ন জিনিসপত্র অন্তর্ভূক্ত থাকবে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: এবার সহিংসতার বলি তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী
কোন ধরনের অস্ত্র বা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়নি হোয়াইট হাউস। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই সামরিক সহায়তায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট অস্ত্র গোলাবারুদ এবং পুনরুদ্ধার সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
Advertisement
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ঘোষণায় বিরক্ত চীন। ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপের ঘটনায় বেইজিং নিন্দা জানিয়েছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে। অপরদিকে, তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি চায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিক্ততা রয়েছে। এর মধ্যেই তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার বিষয়টি চীন যে ভালোভাবে গ্রহণ করবে না সেটাই স্বাভাবিক।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা এবং নতুন কারণ তৈরি না করা। এতে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না। দেশটির মাত্র ১৩টি কূটনৈতিক মিত্র দেশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
চলতি মাসের শুরুর দিকে চীন দ্বিতীয়বারের মতো তাইওয়ানের চারপাশে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তাইওয়ানের উপকূলরেখার কাছাকাছি কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান পাঠানো হয়।
Advertisement
গত কয়েক বছরে তাইপেইয়ের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ সালের মধ্যে তাইওয়ানকে ৬৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য দুদেশের মধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছে।
টিটিএন