এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী।
Advertisement
এদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন> এসএসসির ফল প্রকাশ/৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ
Advertisement
মন্ত্রী জানান, এ বছর দেশের সবকটি শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সময়সূচি অনুযায়ী-দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিলের (ভোকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ২৩ মে ছিল।
আরও পড়ুন> এসএসসিতে শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে
Advertisement
আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার তারিখও কয়েকদিন পিছিয়ে যায়।
আরও পড়ুন> পাসের হারে এগিয়ে বরিশাল বোর্ড, পিছিয়ে সিলেট
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এএএইচ/এসএনআর/এএসএম