এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ৪০ হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে শুধু ঢাকার বাসিন্দা ২৩ হাজার ৬৭৬ জন। ঢাকার বাইরে হাসপাতালে আরও ভর্তি ১৬ হাজার ৬৬৫ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৫ জনে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের।
Advertisement
ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বাড্ডায় নিজ অফিসে ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ: সচেতনতায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাগো নিউজ। গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাছের খান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপপরিচালক (কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট) মাহমুদুল হাসান, জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক এবং ডেপুটি এডিটর ড. হারুন রশীদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাগো নিউজের প্ল্যানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।
গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ভিশন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জাগো নিউজ ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ: সচেতনতায় করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিলের আয়োজন করেছে। আমরা এই গোলটেবিল আলোচনার পর প্রতিবেদনের মাধ্যমে নাগরিকদের ডেঙ্গু সচেতনতায় করণীয় জানাতে চাই।
বৈঠকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। এবার ২৫ জুলাই পর্যন্ত ১৩১ জন মারা গেছে। এক মাসেই আক্রান্ত প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার। যদিও বলা হচ্ছে ৩৭ হাজার আক্রান্ত, মৃত্যু প্রায় ২০১ জন হয়ে গেছে। আসলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।’
Advertisement
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলোতো রিপোর্টে আসে না। তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে। যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।
ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেক রক্ত দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। তবে রক্ত দেওয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য। রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয়। সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না। যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না। অনেক মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে। শরীর থেকে লিকুইড চলে যায়। যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায়। আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায়। এ কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না। বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না।
আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, মহামারি ঘোষণা করার ক্ষেত্রে আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে অজানা ভয় আছে, স্পর্শকাতরতা আছে। এসব পরিবর্তনের জন্য আমাদের সময় লাগবে। কাজেই ডেঙ্গু মহামারি হয়েছে কি না এটার জন্য আমাদের নীতিনির্ধারকদের বিব্রত করার কোনো প্রয়োজন নাই। এটা রোগতাত্ত্বিকদের বিশ্লেষণের বিষয়। কোভিড কি আমাদের দেশের সরকার গেজেট দিয়ে বলেছে আমরা মহামারিতে ঢুকেছি। পারেন নাই। এটা আমাদের রোগোত্ত্বিকরা বলেছে আমরা মহামারিতে ঢুকেছি। কাজেই এটা নিয়ে বিতর্ক করার কোনো দরকার নেই। স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা আমাদের অনেকবারই হয়েছে কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে কাজ হয়। আজকে সমস্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে, অতিরিক্ত ডাক্তার দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের দেশের আইনি কোনো বাধা নেই।
মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের জরিমানার সমালোচনা করে তিনি বলেন, জরিমানা করে জনস্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণকে আপনারা দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা আসলে জনগণ তোর দরজাই খুলবে না, ঢুকতে দিবে না। ঢুকলেই জরিমানা করবেন। একটি হটলাইন দিয়ে দিয়েছেন মশক আছে কি না জানানোর জন্য। কে ফোন দিয়ে জরিমানা ডেকে নিয়ে আসবে। এসে লার্ভা পাবেন আর জরিমানা করবেন। সাধারণ বিষয়ে জরিমানা হতে পারে কিন্তু জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে জরিমানা দিয়ে জনগণকে দূরে সরিয়ে দিয়েন না। কমিউনিটি সম্পৃক্ততার যেই কাঠামোটা স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশিকায় দেওয়া আছে সেটা অনুসরণ করুন।
Advertisement
স্বাধীনতার চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাক্তার জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু নিধন ও ডেঙ্গু আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো না মানলে জরিমানাসহ শাস্তির বিধান আরও বাড়ানো উচিত। আপনি যখনই শাস্তির দিকে যাবেন তখনই কাজ কিছু হবে। সুতরাং শাস্তির কোনো বিকল্প নেই।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের নিয়ম না মানার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে মশারির ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সবাইকে বাধ্য করতে হবে। রাজধানীতে বিদ্যুৎ যায় না বললেই চলে, সেখানেও মশারি ব্যবহার করছেন না কারণ আপনার গরম লাগছে। আপনি কি এটা তুলনা করতে পারেন। আপনি বলছেন বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি মশারি ব্যবহার করবেন না। কারণ আপনি তো বুঝতে পারছেন যে ডেঙ্গু হলে আমরা মারা যেতে পারি, খারাপ অবস্থায় যেতে পারি। কিছুদিন আগে একজন তরুণ ডাক্তার মারা গেলো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘চলতি মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে। এরপর জুন, জুলাইয়ে গিয়ে আমরা ব্যাপক ডেঙ্গু রোগী পেলাম। জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে। এখান জুলাইয়ের শেষ। আগামী দুটি মাস (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার। এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে।’
বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছরের ডেঙ্গু জ্বরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এবার লক্ষ্য করছি সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে। ২০২১ সাল পর্যন্ত এ দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল। ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল। এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরে জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে। এ জানুয়ারিতেও ৫০০-র মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না।
ঢাকা শহরে ‘লাইট পলিউশনের’ কারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি। এ পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কি না জানি না। লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন। এ কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে। আর এতো দিন আমরা জানতাম এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়, নোংরা পানিতে নয়। অথচ এখন আমরা দেখলাম এডিস স্বচ্ছ পানিতে জন্মাচ্ছে। অর্থাৎ এডিস মশা আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে। মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে। এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে।
এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি। কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারাদেশ মশা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে। কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে। সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে। ভারী বর্ষণ হলে হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘পুলিশের ডাম্পিং করা গাড়িগুলো ডেঙ্গু প্রজননের সবচেয়ে বেশি প্রজননস্থল। ঢাকার প্রায় সব থানার সামনাসামনি গাড়ি ডাম্পিং করা রয়েছে। একটু করে কেরোসিন ঢাললে কিন্তু সেখানে হয়ে যায়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাপ হলে পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা ইমিডিয়েটলি ব্যবস্থা নিচ্ছি। তার মানে তারা অনেক দেরি করে ফেলেছে। এতে ডেঙ্গুতে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।’
বাপার যুগ্ম সম্পাদক বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বুঝি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের এই কার্যক্রমগুলো সঠিক হচ্ছে কি না তা পরিমাপের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ থাকা দরকার। সিঙ্গাপুরে তারা ন্যাশনাল অথরিটি এজেন্সি করছে। আমাদের যেমন পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে। কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেটি সিটি করপোরেশন নিলে আরও ভালো হয়। তিনি বলেন, কীটতত্ত্ববিদের গবেষণায় উঠে এসেছে, এডিস মশা তার প্যাটার্ন পরিবর্তন করেছে। এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিবর্তন কোথায় হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে সেটি বের করা দরকার। প্যাটার্ন বুঝে যদি ওষুধ ঠিক করা যায়, তাহলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।’
ঢাকার প্রতিটি এলাকাকে ‘ক্লাস্টার ম্যাপিং’ করে মশা নিধন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, ক্লাস্টার ম্যাপিং করে কলকাতা এডিস মশা নিধনে ভালো ফল পেয়েছে। সিঙ্গাপুরেও ভালো ফল পেয়েছে। আমরা কেন পারবো না। এই কার্যক্রমের সঙ্গে বাসিন্দাদের যোগ করতে হবে। যুবক-তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। আর এই মশা মারতে কাউকে হিরো হওয়ার দরকার নাই। সবাইকে হিরো হতে হবে না। জনগণের চেয়ে বড় হিরো কেউ না।
পবার সভাপতি আবু নাছের বলেন, আমরা ২০০৪ সাল থেকে ডেঙ্গুর সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে সরকার অনেক উদ্যোগ রয়েছে। তবে উদ্যোগের ফলাফল কতটুকু তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। প্রকৃতিতে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ভাইরাস রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগ এক সঙ্গে মিলে গবেষণা করা প্রয়োজন কীভাবে এই ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কোনো একজন পারসনকে না নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কি কাজে নেওয়া উচিত। সিটি করপোরেশনকে এ ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপপরিচালক (কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিটা নাগরিকের কিছু রেসপন্সিবিলিটি আছে। নাগরিকরা যদি নিজের জায়গা থেকে সচেতন থাকে তাহলে আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো। শুধু সরকারের বা কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর দোষ না দিয়ে আমরা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করি তাহলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে।
আমাদের কীভাবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা যায় এবং কীভাবে কাজ করলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা নিয়ে কাজ করা দরকার। আমরা রেড ক্রিসেন্ট প্রায় ৩ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেমেছি। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ডেঙ্গু সচেতনতায় কাজ করছি, লিফলেট বিতরণ করছি।
এমএমএ/এসএনআর/জেআইএম