জেলা পরিষদ সদস্যদের আরও ক্ষমতায়ন করা হবে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে ধারায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন, তাতে ধীরে ধীরে জেলা পরিষদ সদস্যদের আরও ক্ষমতায়ন করা হবে। তবে সবকিছুর ওপর জনগণের কল্যাণকেই আপনাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা পরিষদ একসময় নিষ্ক্রিয় ছিল এখন তাকে সক্রিয় করা হয়েছে। এতে সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন ঘাটতি এখন আমাদের নজরে আসছে, চেষ্টা করা হবে সব সমস্যারই সমাধান হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়াম, ঢাকায় বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদ মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন এবং মন্ত্রীর কাছে দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য অনুরোধ করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা না গেলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সমাধানের চেষ্টা করবে। ভুলে গেলে চলবে না আপনারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের সমস্যার সমাধানের জন্যই আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন। এসময় মন্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্যদের অন্যান্যদের মধ্যে দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার আহ্বান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির চেয়েও দেশের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারছি সেটাই আমাদের চিন্তা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম স্তর ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য আইন ও বিধিমালা সংশোধন এনেছেন। জেলা পরিষদ সদস্যদের স্থানীয় জনগণের সমস্যার সমাধানের পথ এতে সুগম হয়েছে। জেলা পরিষদের প্রত্যেকটি সদস্যই স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
Advertisement
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আমিনুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বি এম তৌফিক ইসলাম।
আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement