জাতীয়

মাছের পুডিং-বিস্কুট-চকলেট তৈরির কথা বললেন মন্ত্রী

প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ দিয়ে খাবারের নতুন নতুন আইটেম তৈরি করতে বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এসময় তিনি মাছের পুডিং, বিস্কুট, চকলেট তৈরির কথা বলেন। তিনি জানান, নতুন প্রজন্ম এই খাবারগুলো সহজেই গ্রহণ করবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে এক কর্মশালায় এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, স্মার্টপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। মাছের গতানুগতিক ব্যবহারের বাইরে স্মার্টপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্যজাত বিভিন্ন খাবার তৈরি করতে হবে। যেমন মাছ থেকে পুডিং, বিস্কুট, চকলেট বা অন্য কোনো সুস্বাদু খাবার তৈরি করলে তা নতুন প্রজন্ম সহজেই মৎস্যজাত খাবার হিসেবে গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন: যেভাবে তাজা মাছ চিনবেন ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন

Advertisement

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাতের ভূমিকা হবে অসাধারণ। স্মার্ট ব্যবস্থা প্রয়োগের জন্য মৎস্য খাতে বিশাল সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র থেকে শুরু করে উন্মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য খাতে স্মার্টপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। মাছের উৎপাদন, আহরণ, পরীক্ষা, বিপণন ও বহুমুখী ব্যবহারে স্মার্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

কর্মশালায় মন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য খাত আজ আর গতানুগতিক কোনো বিষয় নয়। মৎস্য খাতে স্মার্টপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ মাছ উৎপাদন করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের খাদ্য উপাদান, মাছ চাষের জন্য জলাশয়ের পানির উপাদান সব নিরাপদ রাখতে হবে। মৎস্য খাতের প্রতিটি পর্যায়ে স্মার্ট পদ্ধতি, যন্ত্রপাতি ও গবেষণার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী আইনে যেসব মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ

তিনি আরও বলেন, মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদন, আহরণ, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিসহ এ খাতে অনেকে কাজ করছেন। এক সময় মাছ চাষে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাছ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত হয়েছে।

Advertisement

মৎস্য খাত ধ্বংস হলে খাবারের একটি বড় যোগান ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, মাছে ভাতে বাঙালির কৃষ্টি বাঙালি জাতির বড় অংশ। এটি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেকারত্ব বাড়বে, উদ্যোক্তা তৈরি হবে না। মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: চাষের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় বাংলাদেশ

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা পেয়েছি। সেখানে সুনীল অর্থনীতির একটি বড় অংশ হবে প্রচলিত ও অপ্রচলিত মাছসহ অন্যান্য জলজ সম্পদ। এই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, আহরণ ও উন্নয়নে স্মার্টপ্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।

আইএইচআর/জেডএইচ/জিকেএস