ডাক নাম শুনে অপরিচিত যে কেউ অবাক হবেন। নাম যে তার টোয়েন্টি ফাইভ (২৫)। কিন্তু এটাই এখানকার নাছির গ্রুপের ডাক নাম। নাছির গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে মো. নাছির। এই নাছির ও অন্যদিকে শান্তি গ্রুপের আধিপত্যেই কোণঠাসা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিহারিদের জেনেভা ক্যাম্প।আগে শান্তি গ্রুপই জেনেভা ক্যাম্পে আধিপত্যের ছড়ি ঘোরাতো। এর পুরো নিয়ন্ত্রণ করতেন আরমান নামে এক যুবক। তবে তার অবর্তমানে জেনেভা ক্যাম্পের প্রায় পুরো নিয়ন্ত্রণটাই এখন নাছির গ্রুপে। দুই গ্রুপের আধিপত্য ও মাদককে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের অবতারণা বলে জানিয়েছে বিহারি ক্যাম্পবাসী।দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও পুলিশি অভিযানের কারণে সাঁড়াশি অভিযান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেনেভা বিহারি ক্যাম্পে। এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পে।বৃহস্পতিবার রাতে জেনেভা বিহারি ক্যাম্পে অর্থনেতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানায় পুলিশ।এলাকাবাসী জানায়, এর সবকিছুর মূলে রয়েছেন জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার মিজানুর রহমান। মিজানুরই নাছির গ্রুপকে সেল্টার দিয়েছেন। মিজানুরের সেল্টারে থেকে নাছির মাদকের অভয়ারণ্য তৈরি করেন বিহারি ক্যাম্পে। জেনেভা বিহারি ক্যাম্পকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকের ১০টি স্পট। আর এই মাদকের স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন নাছির।অন্যদিকে জিলানী প্রতিদিন এখানে মাদক ব্যবসাসহ নানা রকম বৈধ-অবৈধ ব্যবসা থেকে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা পান।এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর সব কিছু জেনেও পুলিশ কোনো ধরনের অ্যাকশনে যায় না। মোটা অংকের মাসোয়ারায় পুলিশ এখানে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, এখানে দীর্ঘদিন থেকে কাপড়ের ব্যবসা করছেন তিনি। কিন্তু চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেয়া হয় না। এর সব কিছুই জিলানী ও মিজানুরের ছেলেরা নিয়ে যায়।এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অনেককে অনেক কিছুই বলে। নিজ দায়িত্বে বিরোধের মীমাংসা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।তবে এব্যাপারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার মিজানুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তেজগাঁও বিভাগের এডিসি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ সব সময় বিহারি ক্যাম্পের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করেছে। তবে মাদক বিষয়ে কখনো ছাড় দেয়া হয়নি। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি।জেইউ/বিএ
Advertisement