খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় চায় অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাঁচটি আসর শেষ হয়েছে। অথচ এখনো ট্রফিতে ঘরে তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তারা ছাড়া এ ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলও। তবে অস্ট্রেলিয়ার না পাওয়া কিছুটা অবাক করার মতোই। কারণ এই একটি ট্রফি ছাড়া সকল ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে অসিরা। অধরা এ ট্রফিটি জয়ের লক্ষে আগামীকাল শুক্রবার ধর্মশালায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।এর আগে সর্বশেষ আইসিসি বিশ্বকাপের (ওয়ানডে) ফাইনালে খেলেছিল এ দুই দল। ঘরের মাঠে সেবার শেষ হাসি হেসেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার তাদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। দলের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ঘোষণা দিয়েই এসেছেন এবার তারা এ শিরোপাটিও জিততে চান।এ ম্যাচে নামার আগে ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়েই মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণের ম্যাচে এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে অসিরা। নিউজিল্যান্ডের সেরা সাফল্য সর্বশেষ ক্রিস্টচার্চের ম্যাচটি টাই করতে পারা। অবশ্য এ ম্যাচটি হয়েছিল ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ছয় বছর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়নি দল দুটি।তবে আগের ইতিহাস যাই থাকুক নিউজিল্যান্ডকে হারানো এবার সহজ হবে না অসিদের জন্য। উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে তাদের নিজের মাঠে গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। ৪৭ রানের বড় জয় তুলে কিউরা এখন আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী। অথচ কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে এই ভারতের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর যদিও গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে আসায় কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তারা।ভারতকে হারালেও সে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। স্পিনে ভেঙে পড়েছে তারা। অবশ্য নিউজিল্যান্ডের তিন স্পিনার ইশ সোদি, মিশেল সান্টনার ও ন্যাথান ম্যাককালাম মিলে ভারতের বিপক্ষে ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তাই অসিদের বিপক্ষেও হয়তো এ তিন স্পিনার নিয়েই মাঠে নামবেন তারা। তবে ধর্মশালার উইকেটে ফিরে আসতে পারেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির মতো পেসাররা।আরটি/বিএ

Advertisement