ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর এবার তাইওয়ানে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় ডকসুরি। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এর আগে ফিলিপাইনে ওই ঝড়ের আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়। তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো এই ঘূর্ণিঝড়কে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ঝড় বলে উল্লেখ করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে (২৭ জুলাই) ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯১ কিলোমিটার (১১৮ মাইল) বেগে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ তাইওয়ান প্রণালীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড়
তবে স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ জুলাই) ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানার পর এই ঝড়ের শক্তি কিছুটা কমেছে। তাইওয়ানের বেনগুয়েত প্রদেশের বুগুয়িয়াস শহরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক মা এবং তার তিন সন্তানের মৃত্যু হয়।
Advertisement
এছাড়া বুগিও শহরের কাছে ১৭ বছর বয়সী অপর এক কিশোর নিহত হয়েছে। অপরদিকে ইসাবেলা প্রদেশে আরও এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ফিলিপাইনের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং নিচু গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে পড়েছে।
ফিলিপাইনে স্থানীয় সময় বুধবার আঘাত হানা শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাইওয়ানে আঘাত হানার পর এই ঘূর্ণিঝড় চীনের ওপর আছড়ে পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবর-গোমূত্র থেকে শ্যাম্পু-দাঁতের মাজন তৈরিতে চলছে গবেষণা
Advertisement
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত রিজাল প্রদেশে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশে উচ্চঝুঁকিতে থাকা উপকূলের গ্রামগুলো থেকে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া সতর্কতার কারণে স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
টিটিএন