ভ্রমণ

হাজার ফুটের ‘দুধসাগর’ ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি

দুধসাগর জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ বিশ্ববাসী। অনেকেই হয়তো ইন্টারনেটে এই জলপ্রপাতের ছিবি দেখেছেন, আবার অনেকে সেখান থেকে হয়তো ঘুরেও এসেছেন। তবে যারা এই ঝরনার সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে চান তারা সেখানে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখুন-

Advertisement

ভারতের গোয়া ও কর্ণাটকের সীমান্তে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। বর্ষায় এর সৌন্দর্য এতোটাই বেড়ে যায় যে, দূর থেকে দেখলে মনে হয় ধবধবে সাদা দুধ ধাপে ধাপে গড়িয়ে পড়ছে পাহাড় থেকে। এজন্য দুধের সাগর বা দুধসাগর হিসেবেই পরিচিত এই জলপ্রপাত।

আরও পড়ুন: নারীর সঙ্গে নারীর বিয়েই যেখানকার রীতি

আনুমানিক এক হাজার ১৭ ফুট উচ্চতার দুধসাগর ভারতের দেশের সবচেয়ে উঁচু জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে একটি। ভগবান মহাবীর অভয়ারণ্য ও মোল্লেম জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই জলপ্রপাত।

Advertisement

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে দুধসাগর জলপ্রপাতটি। পশ্চিমঘাটের সবুজের মাঝে অবস্থিত এই জলপ্রপাত ঘন অরণ্যে ঘেরা। যা জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল করে তুলেছে।

আড়ম্বরপূর্ণ জলপ্রপাত হিসেবে তো বটেই, তবে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের কাছে দুধসাগর জলপ্রপাত বেশি পছন্দের ট্রেকিংয়ের জন্য।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের যে দ্বীপে মানুষের চেয়েও হরিণ বেশি

যারা এই জলপ্রপাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের জানা উচিত যে, বর্ষাকালে এই জলপ্রপাতের রাস্তাগুলো বন্ধ থাকে। অক্টোবর মাস থেকে খোলা হয় রাস্তাগুলো। তাই দুধসাগর দেখতে গেলে যেতে হবে অক্টোবরের দিকে।

Advertisement

দর্শনার্থীদের কাছে জলপ্রপাতে পৌঁছানোর একাধিক বিকল্প আছে। তবে ট্রেকিং ও ট্রেন যাত্রা সবচেয়ে জনপ্রিয়। ট্রেকিং রুট আপনাকে ঘন বন, স্রোত ও পাথুরে ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়। আপনি যদি ট্রেকিং করেন তাহলে জলপ্রপাতে পৌঁছানোর জন্য বেশ কিছু পথ অবলম্বন করতে পারেন।

ট্রেনের মাধ্যমে কীভাবে যাবেন?

আপনি কলেম-মোল্লেম-দুধসাগর রুটে উঠতে পারেন। এই রুটের জন্য, নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হবে কোলেম। আপনি ক্যারামবোলিম-ওল্ড গোয়া-পোন্ডা-টিস্কা-মোল্লেম-দুধসাগর রুটও চেষ্টা করতে পারেন। এটি একটি দীর্ঘ পথ।

আরও পড়ুন: কম খরচে ভুটান ভ্রমণের উপায়

ট্রেনের রুটটি একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, কারণ ট্রেকগুলো সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্ষায় যখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, তখন দুধসাগর জলপ্রপাতটি সবচেয়ে সুন্দর হয়।

তখন জলপ্রপাতের পানি প্রচণ্ড শক্তির সঙ্গে নিচে নেমে আসে। একটি বজ্রধ্বনি তৈরি করে, যা চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এএসএম