দেশজুড়ে

পটুয়াখালীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ

দিন যত যাচ্ছে পটুয়াখালীতে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে রোগীরা যেমন ভিড় করছেন তেমনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও রোগীদের চাপ বাড়ছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন আক্রান্ত হলেও এই সপ্তাহে তার থেকে অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ জুলাই জেলায় ৫৩ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ২৮ জন। এছাড়া মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, দশমিনায় ছয়, কলাপাড়ায় দুই, গলাচিপায় দুই, বাউফলে ছয় এবং দুমকিতে সাত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তখন পর্যন্ত জেলায় ৬৬৫ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ৫০০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন।

এদিকে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পর জেলার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে সড়কের পাশে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা দেখা গেছে। ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা না থাকায় প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকায় মশার ওষুধ স্প্রে করা হলেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না।

Advertisement

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমরা মশার ওষুধ স্প্রে করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি। নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন না হলে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব না। এমন পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণসহ মাইকিং করা হচ্ছে।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এ কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। দিনরাত সময় সময়ে মশারি ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন বাড়ির আশপাশে পানি জমে না থাকে সেবিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/জেআইএম

Advertisement