২২ বছর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে স্থাপন করা হয় ‘ব্লাড সেল সেপারেটর’ মেশিন। তিন বছর আগে সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর আর নতুন করে ‘ব্লাড সেল সেপারেটর’ স্থাপন করা হয়নি। এতে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
Advertisement
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. মো. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা, ডেঙ্গুসহ কিছু রোগীকে শুধু প্লাটিলেট দিতে হয়। রক্ত থেকে প্লাটিলেট আলাদা করতে এটি লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের ব্লাড সেল অপারেটর মেশিনটি ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। যথাযথ প্রতিপক্ষের মাধ্যমে এক্সপার্টরা পরীক্ষা করে মেশিনটিকে অকার্যকর ঘোষণা করেন। মেশিনটি পুনরায় স্থাপন করার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেশিনটি পুনঃস্থাপিত হবে।’
মেশিনের কারণে রোগীর সেবা ব্যাহত হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু সিভিয়ার (মারাত্মক) পর্যায়ে পৌঁছালে ব্লাড সেল আলাদা করার প্রয়োজন হয়। তবে খুলনায় ডেঙ্গু রোগীর প্রাদুর্ভাব ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো অতটা মারাত্মক নয়। সে কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেহেতু বিভাগের ১০ জেলাসহ আরও কয়েকটি জেলার রোগী আসে, সেক্ষেত্রে রোগী যদি সিভিয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাহলে কিছুটা সমস্যা হবে।’
Advertisement
হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ফরিদ মাতুব্বর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুলনা মেডিকেলে ডাক্তার দেখানোর পর রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু এখানে মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে থেকে করতে হয়েছে।’ স্ত্রী আমেনা বেগমকে নিয়ে যশোরের শার্শা থেকে এসেছেন মোরসালীন। তিনি বলেন, ‘আমাকেও রক্তের পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয়েছে। তবে আমার স্ত্রী এখন অনেকটা সুস্থ আছেন।’
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মেশিনটি মেরামতের জন্য পাঁচ দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খুব শিগগির নতুন একটি মেশিন দিতে চেয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। এ সময়ে কোনো রোগী মারা যায়নি বলে জানা গেছে।
এসআর/এএসএম
Advertisement