পাকিস্তানে একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি অ্যাডিশনাল স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) ছিলেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
Advertisement
এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া জেলার আলি মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে কলকাতায় বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে নিহত কর্মকর্তার নাম আদনান আফ্রিদি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
Advertisement
জানা গেছে, জামরুদের নির্মাণাধীন মসজিদে দুই সন্ত্রাসীর উপস্থিতির খবরে জেলা পুলিশ গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান শুরু করে। পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করলে এক সন্ত্রাসী নিজের শরীরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া অপর এক সন্ত্রাসী বোমা হামলার স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
তবে নিরাপত্তা বাহিনী পালিয়ে যাওয়া ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানানো হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় জেলায় সম্প্রতি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ওই প্রদেশটি ক্রমাগত সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে।
ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৮ জুন থেকে চলতি বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত ওই প্রদেশে ৬৬৫টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫টি আত্মঘাতী হামলা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলকের দাবি
Advertisement
প্রাদেশিক পুলিশের মোটিভ ওয়াইজ টেররিজম ইনসিডেন্টস-এর তালিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলাতেই আটটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ, ৩৭টি আইইডি এবং তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ, পাঁচটি রকেট হামলা এবং ৮৫টি অগ্নিকাণ্ডসহ ১৪০টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ওই তালিকার একটি অনুলিপি ডনের হাতে পৌঁছেছে। তথ্য অনুযায়ী, ডেরা ইসমাইল খান জেলায় ৮১টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭০টি গুলিবর্ষণের ঘটনা, সাতটি আইইডি এবং দুটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং একটি আত্মঘাতী এবং একটি রকেট হামলা।
টিটিএন