দেশজুড়ে

রংপুরে ঝাঁঝ কমেছে কাঁচামরিচের, বেড়েছে আলু-রসুনের দাম

রংপুরে অবশেষে কমতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেড়শো টাকায় মিলছে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ। তবে দাম বেড়েছে আলু ও রসুনের। এছাড়া তেল, চাল, ডাল ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Advertisement

রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচের কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ছিল ২৬০-২৮০ টাকা। টমেটোর দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম কমে (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০-২০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৩০-৩৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙের দাম কমে ৪৫-৫০ টাকা, দুধকুষি ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১০০-১২০ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, কচুরবই ৫৫-৬০ টাকা এছাড়া বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের স্বস্তি

খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩৫-৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭-৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৫০-৫৫ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫৫-৬০ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি আদা ৪০০ টাকা, ভারতীয় আদা ২৬০-২৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৮০-২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৬০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

সিও বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, কাঁচামরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। বগুড়া থেকে আসা কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ১৫০-১৬০ টাকা এবং স্থানীয় কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম কমেছে।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৮০-২৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০-৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস দাম গত সপ্তাহের মতোই ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নাগালের বাইরে মাছ, দাম কমেনি কাঁচা মরিচ-আদা-আলু-চিনির

খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯৯ টাকা এবং দুই লিটার ৩৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

লালবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, ভ্যাপসা গরমে যে হারে মুরগির দাম কমার কথা সে হারে কমছে না। মুরগির খাবার ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা লোকসানের ভয়ে থাকেন। ঈদের পর দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার আগের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দাম।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫২-৫৫ টাকা, পাইজাম ৫০-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেটের দাম কমে ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৪০-১৪৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা ও খোলা আটা ৫৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫-৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মুরগির চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দাম, চড়া সবজির বাজার

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেএস/এএসএম