ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ওই রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক।
Advertisement
এদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনা অহরহ। তাদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গেও ছড়াতে পারে এই মশাবাহিত রোগ। তাই ভারতে আসা বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য গাইডলাইন জারি করতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দপ্তর ও পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গুতে প্রথম মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরকে তড়িঘড়ি চিঠি দিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন। প্রতিটি অভিবাসন কেন্দ্রের পাশে খুলতে হবে ডেঙ্গু রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র।
Advertisement
ডেঙ্গু মোকাবিলায় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় মঙ্গলবার ২৫ জুলাই কলকাতা কর্পোরেশনে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ঢাকা শহর ডেঙ্গুতে জর্জরিত। অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন আকাশপথে, সড়কপথে, রেলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন।
ডেঙ্গুর ভাইরাসের সবচেয়ে বড় বাহক মানুষ। পৌরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আশঙ্কা হতেই পারে যে, প্রতিবেশী দেশ থেকে কোনো মানুষ ডেঙ্গুর ভাইরাস নিয়ে আসছেন। কিন্তু উপসর্গ না থাকায় বুঝতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আমাদের অনুরোধ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রতিটি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক। তাহলেই ধরা পরবে কেউ ডেঙ্গু নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঢুকছে কিনা।
Advertisement
অতীন ঘোষ জানান, ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে জর্জরিত বাংলাদেশ কলকাতার কাছে সাহায্য চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি। কিভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কলকাতা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি করেন অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ জানতে চায় কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই এডিস ইজিপ্টাই।তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তায় রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে।
ডিডি/টিটিএন