চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে রেকর্ড সর্বোচ্চ। এর অন্যতম কারণ হতে পারে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
Advertisement
মূলত বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ২০০০ সালের পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে ২০২২ সালে দাঁড়ায় ৪২ লাখে।
ইউরোপে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। পেরুর অধিকাংশ অঞ্চলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
এদিকে বেশ কিছু অঞ্চল ও দেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রে এফডিএ মাত্র একটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। তবে তা সব বয়সীদের জন্য নয়।
২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরকে দশম স্বাস্থ্য ঝুঁকির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডেঙ্গুর ঝুঁকি যে অঞ্চলে বেশি সেখানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। প্রতি বছর বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
এই মুহূর্তে ডেঙ্গু মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে পেরু। এর আগে দেশটি কখনো এত ডেঙ্গু রোগীর সম্মুখীন হয়নি।
পেরুর কায়েটানো হেরেডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ড. কোরালিথ গার্সিয়া বলেন, ডেঙ্গু রোগী এখন শহর এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে, যা আগে ছিল না।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা উষ্ণ তাপমাত্রা ও ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছেন। কিন্তু লিমা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মরুভূমি শহর হওয়ার পরেও ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে বিস্তার হচ্ছে। কারণ শহরটির জনসংখ্যা এত বেশি যে, এখানে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।
ডেঙ্গুর মূলত তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপ বা ‘ফেব্রাইল ফেজ’। দ্বিতীয় ধাপে ‘ক্রিটিক্যাল ফেজ’ এবং তৃতীয় ধাপে রিকভারি বা ক্রমশ সুস্থ হওয়ার সময়। এই তিনটি ধাপের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ সবচেয়ে কঠিন।
এমএসএম/এএসএম