জাতীয়

খাদ্য নিরাপত্তায় সব রকমের প্রস্তুতি আছে: কৃষিমন্ত্রী

নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাকিলা করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাকে রূপান্তর করে যুগোপযোগী করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৫ জুলােই) ইতালির রোমের স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে চলমান ইউএন ফুড সিস্টেমস সামিটের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর শীর্ষক প্লেনারি সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে বিশাল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি সারাবিশ্বেই বিরল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। ভবিষ্যতেও এ ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন>> দেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার আহ্বান

তিনি বলেন, কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বাংলাদেশ সরকার সমন্বিত বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধিকরণ, বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা ও কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে ৭২০০ কোটি টাকার পার্টনার প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। এফএওর নিকট থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হওয়ায় তলাবিহীন দেশ এখন উন্নত বিশ্বের কাতারে। বিশ্ব আমাদের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। আর এক্ষেত্রে কৃষির বিরাট অবদান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন, তা বাস্তবায়ন জরুরি।

Advertisement

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার ও পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেশনে জানান হয়, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭০-৮৮ কোটি মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, ক্ষুধায় কষ্ট করেছে। ২০৩০ সালে ৬৭ কোটি মানুষকে ক্ষুধা বা হাঙ্গার মোকাবিলা করতে হবে। এ অবস্থায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তর মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

এনএইচ/ইএ