২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তা বাতিল করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে ইউনাইডেট ল’ ইয়ার্স ফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি- ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করা উচিত। এ দুটি নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তাতে জনগণ যে ক্ষমতার মালিক সেটাকে আপনারা হাস্যকর করে তুলেছেন। জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। এটা সংবিধান বর্ণিত পন্থা। মারধর করে ভোট কেড়ে নেওয়া কী সংবিধান স্বীকৃত পন্থা? বরং এটা অপরাধ। আর্টিকেল সেভেন অনুযায়ী- এটা মৃত্যুদণ্ড হওয়ার মতো অপরাধ।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিকল্প কে? বিকল্প কে সেটা ঠিক করবে জনগণ। প্রত্যেকের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এ বিকল্প কে, তা নির্ধারণ করার জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে শেখ হাসিনারও একটা ভোট, বিরোধী দলের একজন নেতা বা কর্মীরও একটা ভোট। আবার সাধারণ একজন কৃষকেরও এক ভোট। তাই কে ক্ষমতায় থাকবে, তা জনগণ ঠিক করবে। পুলিশ-র্যাব ঠিক করবে না। যদি পুলিশ র্যাব ঠিক করে, তাহলে ওই রাষ্ট্র পুলিশের কাছে দায়বদ্ধ থাকে, জনগণের কাছে নয়। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’
Advertisement
আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
এএএইচ/এমআরএম/এমএস