সম্প্রতি দেশে মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে সব ধরনের অ-বাসমতি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তাদের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয়-বাংলাদেশি, তথা দক্ষিণ এশীয় নাগরিকদের ওপর। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মতো দেশগুলোতে চালের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে প্রবাসীদের মধ্যে। সেখানকার সুপারশপগুলোতে রীতিমতো চাল কিনতে কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ লাখেরও বেশি ভারতীয় বাস করেন। স্বভাবতই এদের বেশিরভাগের কাছে ভাত ছাড়া খাবারকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। ফলে চাল রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর সামনে আসতেই সুপারশপগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন তারা।
Panic within NRIs in US for rice #IndiaBansRiceExport https://t.co/QdEz8udocl pic.twitter.com/39rWXBnG3S
— Kreately.in (@KreatelyMedia) July 21, 2023লম্বা লাইন পড়েছে চাল কেনার জন্য। কোথাও কোথাও সেই লাইন রাস্তাতেও চলে এসেছে। যে যতটা পারছেন চাল কিনে মজুত করছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন>> দেশে চাল উৎপাদন-মজুতে রেকর্ড, দামে নাভিশ্বাস ক্রেতার
In the aftermath of the ban on rice exports by India, the situation in the USA @HiHyderabad pic.twitter.com/MtVndnN2Z0
— Sai Vikas (@vikkyszone) July 22, 2023এসব এলাকায় চালের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন জানিয়েছে, কিছুদিন আগেও যেসব দোকানে ২০ পাউন্ড (প্রায় ৯ কেজি) চালের ব্যাগ ১৫-১৬ ডলারে বিক্রি হতো, সেখানে এখন দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪৬ দশমিক ৯৯ ডলার পর্যন্ত।
So all the desi stores are out of Indian rice. Every NRI family has bought 10-15 bags of rice because india has blocked export of “non-basmati” rice. Therefore high IQ NRIs have hoarded 100-200kgs of basmati rice per family. And few are now selling it on FB marketplace
Advertisement
হঠাৎ বিদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করলো কেন নরেন্দ্র মোদীর সরকার?
আরও পড়ুন>> ৫ লাখ টন চাল, ৬ লাখ টন গম আমদানি করবে সরকার
জানা গেছে, গত এক বছরে ভারতের খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। শেষ তিন মাসে যা পেরিয়ে গেছে সর্বোচ্চ সীমা। এই অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাসমতি ছাড়া সব চাল রপ্তানি আপাতত বন্ধ রেখেছে ভারত।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে ভারতের অবদান প্রায় ৪০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে চাল পাওয়া যায়, তার সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। এছাড়াও আমেরিকা-ইউরোপের বাজারে চাল রপ্তানি করে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোও। কিন্তু উৎপাদন কম হওয়ায় এবার এসব দেশ থেকেও চাল রপ্তানি কমানো হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস, ডেইলি মেইল, দ্য ওয়ালকেএএ/