কিশোরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তার মামা আল মামুন (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন যুবকের মা রহিমা খাতুন। এর আগে রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা যশোদল ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকান্দিতে ব্রাক্ষণকান্দি ইমাম হোসেনের চায়ের দোখানের সামনের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন-সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকার আ. আওয়ালের ছেলে মো. সাজন মিয়া (১৯) ও মো. রাজন মিয়া (২৫), মৃত মীর হোসেনের ছেলে আব্দুল আওয়াল, যশোদল ব্রাহ্মণ কান্দি এলাকার ফরহাদের ছেলে ফাহিম (২০) ও ব্রাহ্মণকান্দি এলাকার বিল্লালের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫)।
আরও পড়ুন: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে হাতুড়িপেটা
Advertisement
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী মাদরাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বখাটে ফাহিম ও সাজন সবসময় উত্ত্যক্ত করতো এবং বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিত। ওইদিন খাদিজা মাদরাসার সুপার ও তার মামা আল মামুনকে বিষয়টি জানান। পরে মামা মামুন অভিযুক্ত সাজন ও ফাহিমে বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা মাকে বিষয়টি জানান ও অনুরোধ করেন যেন তার ভাগনিকে বিরক্ত না করে। এ ঘটনায় সাজন ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহিমসহ ৫-৭ জন ইমাম হোসেনের চা দোকানের সামনে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আহত মামুনকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
মাওলানা আব্দুল সাত্তার মাদানি রহ: দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাহমুদুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বখাটে ছেলেরা আমার মাদরাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছে। আমার কাছে ছাত্রীরা এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, মারামারি ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে রাসেল/জেএস/জিকেএস
Advertisement