লাইফস্টাইল

তরুণদের মধ্যে বাড়ছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, লক্ষণ জেনে সতর্ক থাকুন

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট তখনই ঘটে যখন, হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। ফলে ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় ও শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

Advertisement

এ বিষয়ে ভারতের নয়ডার মেট্রো হাসপাতাল অ্যান্ড হার্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ড. জ্ঞানতি আরবিএস সিং জানান, বর্তমানে তরুণদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সঙ্গে যে ওষুধ রাখবেন 

এর কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস, যেমন- অলস জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অত্যধিক চাপ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ায়।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনও হৃদরোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া জেনেটিক কারণ ও কিছু চিকিৎসা অবস্থা অল্পবয়সীদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কাদের বেশি?

কার্ডিয়াক সমস্যার ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা হলো রোগ ও এর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। বেশ কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটতে পারে। যার মধ্যে করোনারি আর্টারি ডিজিজ (সিএডি) একটি প্রধান কারণ, যেখানে হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো সরু বা ব্লক হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও ফেইলিওরের মধ্যে পার্থক্য 

Advertisement

হার্টের অন্যান্য অবস্থা যেমন- অ্যারিথমিয়াস (অস্বাভাবিক হার্টের ছন্দ), কার্ডিওমায়োপ্যাথির (হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া) কারণেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ কী কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা থেকে প্রাণ বাঁচাতে চাইলে এর লক্ষণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে সবারই। আপনি যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, চরম পিঠে ব্যথা, ফ্লুর মতো লক্ষণ, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, এনজাইনা বা বুকে ব্যথা অনুভব করেন, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। এমনকি অন্যদের মধ্যেও এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিন।

আরও পড়ুন: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম ২ কারণ জানালো গবেষণা 

কারো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তাৎক্ষণিক কী করা উচিত?

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রথমেই ব্যক্তিটি প্রতিক্রিয়াশীল কিনা তা পরীক্ষা করুন। যদি ব্যক্তির শ্বাস না থাকে তবে সিপিআর শুরু করুন। চিকিৎসা সহায়তা না পৌঁছানো পর্যন্ত সিপিআর চালিয়ে যান।

প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার তার বুকে সিপিআরের নিয়ম অনুযায়ী জোরে জোরে চাপ দিন বুকের মাঝখানে দুই ইঞ্চি নিচে। প্রতিবার চাপ দেওয়ার পরে বুককে তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে দিন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস