দেশজুড়ে

বস্তায় মিললো মানুষের খুলি-হাড়, ৬ মাস পর রহস্য উদঘাটন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার চন্দনা-বারাশিয়া নদীর পাড়ে সরদারপাড়া কালীমন্দিরে পাশে পাওয়া মানুষের খুলি ও হাড়ের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এস আই (নিরস্ত্র) রামপ্রসাদ ঘোষের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মানবদেহের মাথার খুলিসহ ৭০ পিস হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় মধুখালী থানার উপ পরিদর্শক সৈয়দ তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন মধুখালী থানায়।

মামলার পর তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দেন। মামলাটির তদন্তভার এস আই (নিরস্ত্র) রামপ্রসাদ ঘোষের উপর দেন জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।

Advertisement

তিনি দায়িত্ব পেয়েই অজ্ঞাতনামা খুলি ও হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করেন। আশাপুর এলাকার ইতি খাতুন ও মো. আশরাফুল শেখের সঙ্গে সেই ডিএনএর নমুনা মিলে যায়। এতে করে প্রমাণিত হয় যে, অজ্ঞাত মরদেহ আশরাফুল শেখ ও ইতি খাতুন দম্পত্তির সন্তান মুরসালিন।

আরও পড়ুন: কুমার নদীর পাড়ে মিললো মাথার খুলি

এরপর তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুরসালিনের সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানকে ২৩ জুলাই মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার ওয়াবদা মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদঘাটনের জন্য একটি শক্তিশালী টিম গঠন করা হয়। উক্ত টিম তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই (নিরস্ত্র) রামপ্রসাদ ঘোষকে সহযোগিতা করে। নিহত মুরসালিনের হত্যাকারী তারই সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানকে ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন ৫ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো. ফরিদ উদ্দীনের কাছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

Advertisement

এন কে বি নয়ন/জেএস/জিকেএস