ফিচার

স্বামীর মৃতদেহের সঙ্গেই বছরের পর বছর ঘুমান তারা

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে এমন অদ্ভুত সব জাতি। রূপকথার কোনো গল্প নয়। বর্তমান সময়ে এমন অদ্ভুত সব কাজ করছেন বিভিন্ন উপজাতিরা। যাদের অনেকেই আবার বাইরের বিশ্ব সম্পর্কে কিছুই জানেন না। একবিংশ শতাব্দীর এতো আধুনিকতা, তার কোনো কিছুর স্পর্শই পাননি তারা।

Advertisement

এমনই একটি জাতি পশ্চিম আফ্রিকার কেনিয়ার লুও উপজাতি। এদের মধ্যে প্রচলিত রীতি হলো, মৃতদের সঙ্গে বসবাস করা। এদের এমন অদ্ভুত আচার-আচরণ জেনে হতবাক হবেন বৈকি! এই জাতিকে অনেকে জোনাগি বা ওনাগি বলেও ডাকেন। এদের দেখা যায় পশ্চিম কেনিয়া ছাড়াও উগান্ডা এবং উত্তর তানজানিয়ার কিছু এলাকায়।

আরও পড়ুন: মশার তৈরি কেক-স্যুপ তাদের প্রিয় খাবার

লুওদের প্রচলিত একটি প্রথা হচ্ছে, নারীরা স্বামীর মৃত্যু হলেও তার থেকে আলাদা হতে পারবেন না। স্বামীর মৃতদেহের সঙ্গেই তাদের ঘুমাতে হবে। তবে যদি এভাবে ঘুমাতে ঘুমাতে কোনোদিন স্বামীর ঘনিষ্ঠ হয়েছেন এমন স্বপ্ন দেখেন তবেই মিলবে মুক্তি।

Advertisement

লুওদের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস ছিল, রাতে সেই নারী যদি স্বপ্নে দেখেন তিনি মৃত স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তবে তিনি সেই স্বামীর সব বন্ধন মুক্ত হতে পারবেন। তিনি ফের বিয়ে কর সংসার করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চাবুকের কয়েকশ আঘাত পেতে হয় যাদের

লুও জনজাতির মধ্যে যারা আত্মহত্য়া করেন, তাদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ শাস্তি। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ওই আত্মহননকারীর দেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং নামিয়ে আনার আগে তার দেহে বেত্রাঘাত ও চাবুক মারা হয়। এই মৃতদেহকে তারা গুণ্ডা বলে।

এই জাতির আরও একটি রীতি হচ্ছে, কোনো নারী তার বড় বোনের আগে বিয়ে করতে পারবেন না। বড় বোন যতদিন বিয়ে না করবেন ততদিন ছোট বোনও বিয়ে করতে পারবেন না। এজন্য অনেক সময় সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বড় বোনকে মিথ্যা বিয়ে করতে বাধ্য করেন অথবা জোর করে কারো সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন।

Advertisement

কেএসকে/এমএস