মুন্সিগঞ্জ সদরে ভাড়া বাড়ি থেকে এক কিশোরের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপর কিশোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
সিগারেট নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সে ওই কিশোরকে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেছে।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চরমুক্তারপুর মিরেশ্বরাই এলাকার কামাল দেওয়ানের বাড়ির টিনের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নিহত কিশোর মুক্তারপুর এলাকার মদিনার ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং নামের একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
Advertisement
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মুক্তারপুর এলাকার কামলা দেওয়ানের বাড়ির একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে অভিযুক্ত কিশোরসহ চার রংমিস্ত্রিকে থাকতে দেন জাহাঙ্গীর নামের এক ঠিকাদার। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরুন নেছা নামের এক প্রতিবেশী নারীর বাড়ি থেকে বঁটি নিয়ে আসে ওই কিশোর। সকাল ৯টার দিকে ওই ঘর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে আসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পরে ঘরে ঢুকে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহের পা দেখতে পাওয়া যায়। এসময় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ও সিআইডি এসে ঘরে ঢুকে মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধারের খবরে ঘরের অপর তিন ভাড়াটিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও নিখোঁজ ছিল অভিযুক্ত কিশোর। এর কয়েক ঘণ্টা পর পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে নির্জন স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় জানতে চাইলে সিগারেট নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা জানায় সে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত কিশোরের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জেআইএম
Advertisement