বেশ কিছুদিন হলো বিহারের একটি গ্রামে নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছিল। রাতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল রোজ রোজ। একাধিকবার স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানিয়েও সমাধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত রহস্যের কূলকিনারা করতে নিজেরাই মাঠে নেমে পড়ে গ্রামবাসী। তারপর একরাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে ‘অপরাধী’। দেখা যায়, গ্রামেরই এক তরুণী গোপনে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ বিছিন্ন করতেন।
Advertisement
সম্প্রতি এই কাণ্ড ঘটেছে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেতিয়া এলাকায়। রোববার (২৩ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, গ্রাম অন্ধকার করা অভিযুক্ত তরুণীর নাম প্রীতি কুমারী। পাশের গ্রামের রাজকুমার নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তার। পরিবার-প্রতিবেশীদের লুকিয়ে দেখা করার জন্যই এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দিতেন তরুণী।
আরও পড়ুন>> প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় বাধা, বাবার নামে থানায় অভিযোগ মেয়ের
Advertisement
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই কাণ্ড চলছিল। কিছুতেই তার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। তীব্র গরমের মধ্যে বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। এমনকি চুরির ঘটনাও ঘটছিল। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু সমাধান মেলেনি।
কেন রোজ রাতে লোডশেডিং হচ্ছে, এই রহস্য উদঘাটনে তৎপর হন গ্রামবাসীরা। তারপরই এক রাতে প্রীতি ও রাজকুমারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন কয়েকজন।
জেরার মুখে অবশেষে প্রীতি স্বীকার করেন, গোপনে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিছিন্ন করতেন তিনি।
আরও পড়ুন>> প্রেমিকার দেখা পেতে পুরো গ্রামের বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতেন প্রেমিক!
Advertisement
এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার মধ্যে প্রীতির গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে একপ্রস্থ মার খান প্রেমিক রাজকুমার। পরে তিনি নিজগ্রামের লোকদের খবর দিলে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আরও এক দফা ঝামেলা হয়। তবে শেষশেষ শুভসমাপ্তি হয়েছে সেই ঘটনার।
গ্রামবাসীরাই প্রস্তাব করেন, প্রীতি-রাজকুমারের বিয়ে দেওয়া হোক। তাহলে যুগলের অন্তরঙ্গ হওয়ার জন্য গোটা গ্রামকে আর অন্ধকারে থাকতে হবে না।
আরও পড়ুন>> আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক-ছাত্রী, জনতার মারধর
প্রস্তাব মেনে নেন প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ে। পরে গ্রামেরই একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে এবার আর অন্ধকার করে নয়, আনন্দের দিনে আলো ঝলমল ছিল গোটা গ্রাম। সেই আলো রেশ ছিল রাজকুমার আর প্রীতির মুখেও।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার পত্রিকাকেএএ/