জাতীয়

মানবাধিকার ইস্যুতে গবেষণাপত্র প্রকাশের অনুষ্ঠানেই বিতর্ক

বাংলাদেশে যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন সেসব কর্মী দুর্দশায় আছেন জানিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। অধ্যাপক আলী রিয়াজের করা ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তবে অংশগ্রহণকারী মানবাধিকার কর্মীদের অভিজ্ঞতা ও সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গবেষণার প্রকাশ অনুষ্ঠানেই।

Advertisement

শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এক আয়োজনে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। দেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন ৫০ জন কর্মীর অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর চার মাসের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে সিজিএস। গবেষণার মূল দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে যা আশঙ্কাজনক।

এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বারবার দেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যা ও গুমসহ মানবাধিকার, সহিংসতার কথা অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোও হামলার শিকার হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অন্যান্য অতিথিরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে হত্যা, গুম এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নাসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করে মনোনয়ন নেওয়ার পর রাজনীতি নিয়ে বাণিজ্য করছে। দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। দেশ চলছে আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে, তারা দেশের মানুষ নিয়ে ভাবে না।

Advertisement

অভিযোগ করে তারা বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের চাপ শুধু বর্তমানে নয় আরও ২০ থেকে ২৫ বছর আগেও ছিল। মানবাধিকার নিশ্চিত হওয়ার আইনী কাঠামো আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড (ব্লাস্ট) এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এসময় গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অভিযোগ আছে।

পরে এই গবেষণাপত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আলী রিয়াজ জানান, এই গবেষণায় কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয়নি। এসময় দেশের মানবাধিকার নিয়ে করা কিছু প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।

এসএনআর/এমএস

Advertisement