আন্তর্জাতিক

ধর্ষণবিরোধী আইনের অপব্যবহার করছেন নারীরা

পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দিলেই তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ধর্ষণবিরোধী আইনের অপব্যবহার করছেন নারীরা। সম্প্রতি একটি মামলার রায় ঘোষণার সময় এ কথা বলেছেন ভারতের উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি শরদ কুমার।

Advertisement

বার্তা সংস্থা পিটিআই’র খবরে জানা যায়, গত ৫ জুলাই একটি ধর্ষণ মামলার ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করার সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি। তিনি বলেন, পারস্পরিক বিরোধসহ বিভিন্ন কারণে নারীরা তাদের পুরুষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার অপব্যবহার করছেন।

আরও পড়ুন>> বাসর রাতে পেটব্যথা, পরদিনই মা হলেন নববধূ!

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টও একাধিকবার বলেছেন, কোনো পক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকার করলেই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে হওয়া শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যাবে না, বলেন বিচারপতি শরদ কুমার।

Advertisement

জানা যায়, এক ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছর অন্তরঙ্গ সম্পর্কে ছিলেন এক নারী। কিন্তু পরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান সেই ব্যক্তি। এরপরেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন সেই নারী।

আরও পড়ুন>> স্বামী থাকবে, প্রেমিককেও চাই: দুই বিয়ের দাবিতে থানায় হাজির তরুণী

২০২০ সালের ৩০ জুন মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই নারীর অভিযোগ, ২০০৫ সাল থেকে তাদের মধ্যে সম্পত্তিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক চলছিল। কেউ একজন চাকরি পেলেই বিয়ে করবেন, এমন অঙ্গীকার করেছিলেন তারা। কিন্তু পরে আরেক নারীকে বিয়ে করেন সেই ব্যক্তি। তবে এরপরও তাদের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত ছিল।

এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, অভিযুক্ত বিবাহিত জেনেও স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে গেলে সম্মতির বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জড়িয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন>> প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় বাধা, বাবার নামে থানায় অভিযোগ মেয়ের

আদালত বলেন, প্রাথমিক পর্যায়েই বিয়ের আশ্বাসের সত্যতা পরীক্ষা করা উচিত, পারস্পরিক সম্মতিতে একটি সম্পর্কে প্রবেশ করার পরে নয়।

ওই নারীর মামলা প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, ১৫ বছর ধরে, এমনকি অভিযুক্তের বিয়ের পরেও সম্পর্ক অব্যাহত থাকলে সেটিকে প্রাথমিক পর্যায় বিবেচনা করা যায় না।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/