হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি সব আলেমের মুক্তি দাবি করেছেন সংগঠনটির আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
Advertisement
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি গদি টেকাতে চান, দ্রুত আলেমদের মুক্তি দিন। জাতির কাছে ক্ষমা চান। নিজেদের মুক্তির পথ বের করুন।’
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শায়খুল হাদিস পরিষদ আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি সব আলেমের মুক্তি, দেশব্যাপী আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আলেমদের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় করণীয় নির্ধারণে এই সম্মেলন হয়।
ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। সবার বিরুদ্ধে ৩০-৪০টা মামলা দায়ের করেছে। অনতিবিলম্বে মামুনুল হকসহ হেফাজত নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে গদি ছাড়তে হবে।’
Advertisement
বন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে হেফাজতের আমির বলেন, ‘আমি সরকারকে বলবো, যদি নিজেদের ভালো চান, অবিলম্বে কারাবন্দি সব আলেমকে মুক্তি দিন। হয়রানি বন্ধ করুন। তা না হলে অবস্থা করুণ হবে।’
সমাবেশের সভাপতি ও শায়খুল হাদিস পরিষদের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘আজ ওলামায়ে কেরামদের ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর। বের হলেই গ্রেফতার করা হয়। গোটা দেশ আজ কারারুদ্ধ। শুধু মামুনুল হক নন, গোটা দেশকে কারারুদ্ধ অবস্থা থেকে বের করতে হবে। আমাদের যেটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে নামতে হবে। আপনারা যদি বাঁচতে চান দ্রুত কারাবন্দিদের মুক্তি দিন।’
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আজ ঐক্য হয়ে গেছে। সব আলেম ঐক্যবদ্ধ হয়ে কারাবন্দি ওলামাদের মুক্তি চান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আলেমদের মুক্তি করা যাবে না। আজ আলেমদের (আদালতে) হাজিরা দিতে দিতে নাজেহাল অবস্থা। আমরা চাই মামলা প্রত্যাহার করা হোক। তাদের হাজিরা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মামুনুল হককে মুক্ত করতে চাই। মুক্ত করে ছাড়বো।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আব্দুল হামীদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইমলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি প্রমুখ।
Advertisement
এসএম/কেএসআর/এমএস