একবছর বয়সী মেয়ে ও দেবরকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন নিপা (২৬)। তবে শ্বশুরবাড়ি আর যাওয়া হয়নি। তাদের বহনকারী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেলে তারা তিনজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন।
Advertisement
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। জীবিত ২৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই বাসটিতে করেই শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন নিপা।
আরও পড়ুন: ইজিবাইককে সাইড দিতে গিয়ে প্রাণ গেলো বাসের ১৭ যাত্রীর
Advertisement
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত নিপার বাবার বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বলাইবাড়ি এলাকায়। তার শ্বশুরবাড়ি বরিশালের হিজলায়।
মরদেহগুলো ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রাখা আছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল এলাকা। আহাজারি করতে করতে অনেকে মূর্ছা যাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাস বাশার স্মৃতি পরিবহন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই একটি ইজিবাইকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালান। পরে ফায়ারসার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রথমে ১৩ জন ও পরে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার জীবিত ২৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল নিহত ও আহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আতিকুর রহমান/এসআর/জেআইএম