সংসার সুখের করতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই অবদান রাখতে হয়। যদিও কথায় আছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে! তবে এ ধারণা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আসলে সংসার গতে যেমন স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই দরকার হয়, ঠিক তেমনই এটি সুখের করতেও দুজনের অবদান রাখা জরুরি।
Advertisement
আর সংসারে সুখ আনতে দুজনেরই দায়িত্বশীল হতে হয়। না হলে ওই সংসার টেকানো মুশকিল। এমন অনেক অভ্যাস আছে যা বিবাহিত দম্পতির মধ্যে থাকলে সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে ও দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। জেনে নিন কী কী-
আরও পড়ুন: দাম্পত্যে যে ৭ ধরনের সমস্যায় সঙ্গী পরকীয়ায় ঝুঁকেন
ধূমপান
Advertisement
পৃথিবীর সব খারাপ নেশার মধ্যে ধূমপান সবচেয়ে খারাপ। এটি শুধু আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যই খারাপ নয়, এর ফলে শরীরের ছোট ও পাতলা শিরাগুলোও সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি পুরুষত্বহীনতার কারণ হতে পারে। যার কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় এবং শুক্রাণুর গুণমানও কমতে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে, এটি ডিমের গুণমান নষ্ট করে।
ঠিকমতো না ঘুমনো
বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা কমতে শুরু করে। যা পুরুষের টেস্টোস্টেরনকে প্রভাবিত করে। ফলে পুরুষদের যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা উভয়ই কমতে শুরু করে।
Advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর কথা মানলেই দীর্ঘজীবী হবেন স্বামী, বলছে গবেষণা
টেস্টোস্টেরন একটি পুরুষ যৌন হরমোন, যা তার পুরুষত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। পর্যাপ্ত ঘুমসহ অনিয়মিত জীবনধারণের কারণে এই হরমোনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। তাই পুরুষদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শরীরচর্চা না করা
কঠোর পরিশ্রম না করে শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদনও অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক গবেষণায় জানা গেছে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে। ঠিক একইভাবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে নারীর শরীরও সুস্থ থাকে এমনকি অতিরিক্ত ওজনও কমে।
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ
বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে তা নারী ও পুরুষের উর্বরতাকে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এর কারণে আমাদের শরীর ও মন নানা সমস্যার শিকার হতে পারে। এসব খাবার শুধু সুস্বাদুই বটে, এগুলোর মধ্যে কোনো পুষ্টি নেই। এটি হৃদরোগের জন্যও বিপদ হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গেল থাকার যত সুবিধা
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা
মানুষ সব সময় অফিস-বাড়ি-পরিবার ও নিজেকে নিয়ে চিন্তিত থাকে। মানসিক চাপের কারণে, কর্টিসল বাড়তে শুরু করে ও টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়। ফলে পুরুষদের অকাল বীর্যপাত শুরু হয় ও তারা পুরুষত্বহীনও হতে পারে।
একইভাবে নারীদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা মানসিক ব্যাধির কারণ হতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করা জরুরি। তাহলে মনের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে আর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও সম্পর্ক ভালো থাকবে।
দাবিত্যাগ: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সূত্র: প্রেসওয়্যার১৮
জেএমএস/এএসএম