খুলনায় সবজির লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। সব ধরনের সবজির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা মরিচ, পেঁপে, ঢেঁড়স, কাঁকরোলসহ সব ধরনের সবজির দাম এখন ক্রেতার নাগালে এসেছে।
Advertisement
শনিবার (২২ জুলাই) খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, নিরালা বাজার, মিস্ত্রি পাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে কুশি আর ঝিঙে। কাঁকরোলের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০/৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা, ডাটা শাক ৪০ টাকা, ২৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কলা। কাঁচা মরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।
জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল বলেন, আজ পাইকারি বাজারে সবকিছুর দাম একটু কম। আর পাইকারি দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যায়।
বাজার করতে আসা গৃহিণী রহিমা বেগম বলেন, গত ২ দিন একটু স্বস্তি নিয়েই বাজার করতে পারছি। দাম অনেক কমেছে সবজির।
Advertisement
নিরালা বাজারের সবজি বিক্রেতা হুসাইন জানান, বাজারে সবজির আমদানি বেশি হচ্ছে আজ কয়েক দিন। তাই দামও একটু একটু করে কমছে। বৃষ্টি বাড়লে সবজির উৎপাদন বেড়ে যায়, বাজারের সরবরাহও বেড়ে যায়, ফলে দামও কম হয়।
সবজির বাজারে ক্রেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো মাছের বাজারে নেই তেমন কোনো সুখবর। ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ। এছাড়া রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা কেজি, পরশে মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাগরের মাছ পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়।
জোড়াকল বাজারে মাছ বিক্রেতা রহিম বলেন, খুলনা রুপসা রোড থেকে এই বাজারে সবচেয়ে বেশি মাছ আসে। এছাড়া আশপাশের কিছুই এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ আসে এই বাজারে। বছরের এই সময়টায় বৃষ্টি না থাকায় মাছের উৎপাদন কমে যায়, ফলে মাছের দাম একটু বাড়ে। তবে এ বছর উৎপাদিত মাছ রাজধানীতে চলে যাওয়ায় এখনো মাছের দাম কমেনি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে নতুন মাছ আসা শুরু করলে মাছের দাম কমে যাবে।
মাছ বিক্রেতা নিয়ামত জানান, আর ৩/৪ দিন পর বাজারে ইলিশ মাছ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মাছের দাম আরও কমতে পারে।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/জেএস/জেআইএম