সাভারে রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে ভিন্ন স্বাদের বাহারি খাবারের মার্কেট ‘পল্লী ফুড ভিলেজ’। হালকা থেকে ভারী শতাধিক আইটেমের খাবার মেলে এ মার্কেটে। দামও খুব বেশি নয়। এতে দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে খাবারের মার্কেটটি।
Advertisement
সাভারের আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর এলাকায় অবস্থিত পল্লী ফুড ভিলেজ মার্কেটে।
সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানিরা খাবার সাজিয়ে বসে আছেন ক্রেতাদের আশায়। যেদিকে চোখ যায় শুধু খাবার আর খাবার। ক্রেতাদের অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে ছুটে এসেছেন। কেউবা খাবার সামনে রেখে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডায় মেতেছেন।
আরও পড়ুন: দুই দোকানে মাসে ৬ লাখ টাকার চা বিক্রি
Advertisement
সারি সারি খাবারের দোকানগুলো হলো তেহারি ও বিরিয়ানি হাউজ, হালিম ও নলি ঘর, চিকেন বার্গার, চিকেন ফ্রাই, ব্রিফ বার্গার, ব্রিফ ফ্রাই, কাবাব ঘর, ফুচকা আর চটপটি কর্নার, পিৎজা হাট, চিকেন বল, চিকেন সসেস, চিকেন নাগেট, ভেজিটেবল রোল, কলিজা ভুনা, মোমো, রুটি হাউজ, পিঠা হাউজ, ঝালমুড়ি, তান্দুরী চা, ফলের জুস ইত্যাদি।
শুধু তাই নয়, রয়েছে পানের বিশাল আয়োজন। আগুন পানসহ নানা রকমের পান মিলবে এ মার্কেটে।
ফ্রেন্ডস ফুড ক্যাফের মালিক নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার এখানে দিনভর বিক্রি হয় ১১ আইটেমের চা। রেগুলার মটকা চা, তান্দুরী চা, সাত রঙের চা, তুলসি চা, মাল্টা চা। ১০-১০০ টাকায় বিক্রি হয় এসব চা।’
আরও পড়ুন: ৮০ বছরেও কমেনি লক্ষ্মী নারায়ণের মিষ্টির খ্যাতি
Advertisement
পল্লীন জুস বারের মালিক মিলন হোসেন বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ফলের জুস মেলে এখানে। সঙ্গে থাকে লাচ্ছি ও ফালুদা। এগুলোর মূল্য ২০-১৫০ টাকা।’
পল্লী ফুড ভিলেজে সারাদিন খাবার পাওয়া গেলেও মূলত জমে ওঠে বিকেল থেকে। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। পিৎজা খেতে আসা রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি শ্রীপুর থেকে পিৎজা খেতে এসেছি। শুনেছি এখানে কম দামে ভালো পিৎজা পাওয়া যায়। একটা টেস্ট করে দেখলাম বেশ ভালোই লেগেছে। আরও দুটি বাসায় নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।’
ফুচকার দোকানে বসে থাকা আফরোজা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথম এলাম এ খাবারের রাজ্যে। খুব ভালো লাগছে। দেখলাম মানসম্মত খাবার। বেশ কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: এক দোকানে ৫৩ রকমের চা
পিৎজা খাওয়ার সময় কথা হয় সুজন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসার স্ত্রীর আবদার মেটাতেই এখানে আসা। এসে ভালোই লাগছে। খাবারের মানও ভালো।
ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যতই দিন যাচ্ছে জায়গাটি জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই এখানে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত খাবারের মান দেখভাল করছেন।
এসআর/জেআইএম