তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা ‘ইন্ডিয়া’র (২৬টি বিরোধী দলের নতুন জোট) পক্ষ থেকে মণিপুরের মানুষকে স্যালুট জানাই। বিজেপির ‘বেটি বাঁচাও স্লোগান’ এখন কোথায় গেলো? আজ বেটি জ্বলছে মনিপুরে। বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। নারী বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না। আগামী নির্বাচনে নারীরা বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দেবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বিজেপির প্ল্যান ফেক ভিডিও করবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায় এটা পরিষ্কার। মণিপুরের কথা বলতে গিয়ে মোদী বাংলা, রাজস্থানের কথা বলেছেন। আমার একটাই বিনীত প্রশ্ন আপনার কাছে, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে?
আরও পড়ুন: অস্ত্র-মাদক নিয়ে মমতার বাড়ির গলিতে ঘোরাঘুরি, যুবক আটক
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বলেন, চারিদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দাঙ্গার নামে ভাগাভাগির চেষ্টা করছে বিজেপি। কখনো ভেবেছেন পেট্রোলের দাম কত? টমেটো কিনতেই ১২০ রুপি খরচ হয়। কৃষকরা সার পাচ্ছেন না। নির্বাচন আসবে আপনারা জুমলা করবেন। একে ১৫ লাখ ওকে ৪০ লাখ দেওয়ার কথা বলবেন।
Advertisement
‘আমি চ্যালেঞ্জ নেওয়ার লোক। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ত্রিপুরায় রথযাত্রায় ২৬ জন মারা গেলেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় কত মানুষ মারা গেলেন। নমামী গঙ্গে প্রকল্পকেন্দ্রের কতজন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আমি কিন্তু কিছু বলিনি। আমি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করি না, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেউ মারা গেলেই তা নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি।’
আরও পড়ুন: ২০ রুপিতে পেট ভরে খাওয়া যাবে ট্রেনে
মমতা আরও বলেন, ২০২৪ সালে নতুন ‘ইন্ডিয়া’র জন্ম হবে। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেবে সাধারণ মানুষ। মণিপুরের নারীদের যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিজেপির লজ্জা করা উচিত। ইন্ডিয়া লড়বে আর পাশে সৈনিকের মতো ঝান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্ডিয়াকে জিততে হবে। বিজেপি হারলে জিতবে ভারত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ৭১ হাজার বুথে নির্বাচন হয়েছে। মাত্র তিন জায়গায় বিশৃঙ্খলা হলো। ভাঙরে ওই হাঙররা অশান্তি করেছে। ডোমকলে আমরা জিতিনি। গন্ডগোল করে ওরা জিতেছে। আরেকটা ইসলামপুর বা চাপড়ায় অশান্তি হয়েছে। কুচবিহারে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর তৃণমূলের ১৮ জনকে খুন করা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে ১৩ জনের প্রাণহানি
‘সিপিএমের তিনজন খুন হয়েছে। বিজেপির তিনজন খুন হয়েছে। বাকি অন্যান্য দলের সদস্যরা। এর মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতাও রয়েছে। আমরা প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। আমরা সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি করি না। এবার ঘরে ঘরে একটাই ডাক উঠবে, মোদী যাক, মোদী যাক।
ডিডি/এসএএইচ