খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা চার অঘটন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই চার-ছক্কার ধু-ধাড়াক্কা লড়াই। প্রতিটি আসরেই ঘটে চলেছে একের পর এক অঘটন। কখনও ব্যাটম্যানদের চমক, কখনওবা বোলারদের। দলীয় চমকও রয়েছে বেশ। এবারের বিশ্বকাপেও ঘটেছে এমন ঘটনা। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নতুন টিকিট পাওয়া ওমানের জয় বেশ চমকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে।জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য এবার তুলে ধরছি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে অবাক করা চারটি ম্যাচ, যেগুলো চমকে দিয়েছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে।অস্ট্রেলিয়াকে হারাল জিম্বাবুয়ে: ২০০৭সময়টা ২০০৭ সাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। ওই বিশ্বকাপেই বিস্ময়কর এক অঘটনের জন্ম দেয় জিম্বাবুয়ে। তাও আবার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে অসিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দেয় জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে ব্রেন্ডন টেলরের ১২ রানের সুবাদে জয় পায় আফ্রিকান দলটি। আর এমন জয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় তারুণ্যনির্ভর জিম্বাবুয়ে।ইংল্যান্ডকে হারাল নেদারল্যান্ডস: ২০০৯২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে আরক অঘটনের জন্ম দেয় নেদারল্যান্ডস। ওই আসরে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সবার নজর কাড়ে ডাচরা। শুরুতে ব্যাট করে ১৬২ রানের বিরাট স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাচ্ছন্দে খেলতে থাকে ডাচ ব্যাটসম্যানরাও। রায়ান টেন ডেসকাটের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের ৪ উইকেটে হারের লজ্জা দেয় নেদারল্যান্ডস।ডাচদের কাছে ইংলিশদের আরও একটি পরাজয়: ২০১৪বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। আগেরবারের চেয়ে এবারের পরাজয়টা ছিল আরও হতাশাজনক। ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান করে ডাচ ব্যাটসম্যানরা। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডাচ বোলারদের তোপের মুখ পড়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ফলে ৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। ফলে ৪৫ রানে হারের লজ্জায় পড়তে হয় তাদের।হংকংয়ের কাছে বাংলাদেশের পরাজয় : ২০১৪২০১৪ বিশ্বকাপে আরো একটি অঘটনের জন্ম হয়েছিল। স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় হংকং। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৩ ওভারেই ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হংকং দল। যা ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম অঘটন হিসেবে স্মরনীয় হয়ে আছে।আরএ/আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement