অর্থনীতি

ক্যাডমিয়ামের দাম নিয়ে নিম্নমানের গহনা দিচ্ছে সোনা ব্যবসায়ীরা

এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ক্যাডমিয়াম গহনার দাম নিয়ে ক্রেতাদের নিম্নমানের গহনা দিচ্ছে। আবার অসাধু কারিগর বা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রলোভন ও অজুহাতে সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিম্নমানের গহনা সরবরাহ করছে।

Advertisement

অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকায় এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ।

আরও পড়ুন: লাখ টাকা ছাড়ালো সোনার ভরি 

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু কারিগর বা ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রলোভন ও অজুহাতে নিম্নমানের গহনা সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরবরাহ করে আসছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আবার সরল বিশ্বাসে ক্রেতাদের কাছে সেসব গহনা বিক্রি করছে। ফলে একদিকে যেমন ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যবসার সুনামও নষ্ট হচ্ছে।

Advertisement

এ ধরনের নিম্নমানের গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ উল্লেখ করে নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো কারিগর বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাডমিয়াম গহনার মূল্য নিয়ে নিম্নমানের গহনা সরবরাহ প্রতারণার শামিল। যা দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জুয়েলারি ব্যবসার সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পাইন ঝালার কোনো অলংকার প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ উল্লেখ করে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সনাতন পদ্ধতির অলংকার শুধু ক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা যাবে। ক্যাডমিয়াম পাইনের নামে নিম্নমানের কোনো গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি করা যাবে না। এ ধরনের গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: সোনার দাম বাড়লো 

সোনার অলংকার

>> সোনা নীতিমালা (২০১৮) ও সংশোধিত সোনা নীতিমালা (২০২১) মোতাবেক হলমার্ক নিশ্চিত করে গহনা বিক্রি, বিপণন, প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে হবে।

Advertisement

>> সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে সোনার চারটি মান রয়েছে- ১৮, ২১, ২২ ও ২৪ (৯৯ দশমিক ৫) ক্যারেট। এসব মানের বাইরে কোনো সোনা বা সোনার অলংকার বিক্রি করা যাবে না। তেজাবী সোনার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা কোনো অবস্থাতেই ৯৯ দশমিক ৫ এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়। সোনা বা সোনার অলংকারের গায়ে হাতে লেখা ক্যারেট সিল গ্রহণযোগ্য হবে না।

>> সোনার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদ দিতে হবে। এছাড়া বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে গ্রামপ্রতি কমপক্ষে ৩০০ টাকা মজুরি নিতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে তবে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদি কেউ দ্বিতীয়বার এ আইন অমান্য করে তাহলে তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে বাজুসের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>> নিয়মানুযায়ী ক্রেতাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে নিজ দায়িত্বে জমা দিতে হবে। যদি কেউ এ নিয়ম অমান্য করে ভ্যাট ফাঁকি দেয় এবং ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা না করে বরং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে সোনা আনলে ভরিতে কর ৪০০০ টাকা 

>> অর্ডার করা অলংকার প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অথবা বুকিং করা অলংকার সরবরাহের ক্ষেত্রে যে দিন অর্ডার বা বুকিং দেওয়া হবে সে দিনের বাজারমূল্য কার্যকর হবে। অর্ডার সরবরাহ বা গ্রহণের সময়সীমা সর্বোচ্চ এক মাস হবে। এক মাস পার হলে অর্ডারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে বায়না বা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া টাকা বা সোনা থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে ক্রেতাকে বাকি টাকা বা সোনা ফেরত দিতে হবে।

>> ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য সোনার অলংকার বিক্রির সময় কোনো প্রকার প্রলোভনমূলক উপহার দেওয়া বা মূল্যছাড় বা মজুরি ছাড় বা ভ্যাট ছাড় দেওয়া যাবে না।

>> বাজুস নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি দামে সোনা বা রূপার গহনা বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটায় তবে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরোনো সোনা কেনার ক্ষেত্রে নির্দেশনা

>> পুরোনো সোনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিক্রেতাকে পারচেজ রশিদ দিতে হবে।

>> সংশ্লিষ্ট জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের পারচেজ রশিদে বিক্রেতার যাবতীয় তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।

>> বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।

>> মূল মালিক ব্যতিত কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে অলংকার কেনা যাবে না।

আরও পড়ুন: ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা 

ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা সোনা এবং অলংকার ক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা

>> বিক্রেতার পাসপোর্টের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।

>> বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।

>> প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে সোনা কিনতে হবে।

>> এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স দেওয়ার ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।

ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা

>> ১ থেকে ৫০ সেন্টের মধ্যে সব ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে কালার ও ক্ল্যারিটি সর্বনিম্ন মানদণ্ড হবে- আইজে এবং এসআই টু।

>> ৫০ সেন্টের ওপরে সব ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেট দিতে হবে।

>> ডায়মন্ডের গহনায় সোনার সর্বনিম্ন মানদণ্ড ১৮ ক্যারেট। অর্থ্যাৎ ডায়মন্ডের গহনায় ১৮ ক্যারেটের নিচের মানের সোনা ব্যবহার করা যাবে না।

>> ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির সময় বাধ্যতামূলক ক্যাশ মেমোতে গুণগত মান নিদের্শক উল্লেখ করতে হবে।

>> ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে।

>> ক্রেতা আকৃষ্ট করতে ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির সময় কোনো প্রকার প্রলোভনমূলক উপহার সামগ্রী বা একটা কিনলে একটা ফ্রি এ ধরনের অফার দেওয়া যাবে না। এ নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>> কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে আসল ডায়মন্ডের নামে নকল ডায়মন্ড (মেসোনাইট, সিভিডি, ল্যাব মেইড, ল্যাব বর্ন ইত্যাদি) বিক্রি করলে ওই প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বর্ণ বিদেশে রপ্তানি হবে 

>> ডায়মন্ডের গহনার মান নিশ্চিত করতে মানসম্পন্ন ডায়মন্ড ল্যাবের সনদ থাকতে হবে।

>> ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়া যাবে। যদি কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তবে ওই প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপার অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা

>> ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সোনার অলংকারের ন্যায় রুপার অলংকারে বাধ্যতামূলক হলমার্ক থাকতে হবে।

>> বিক্রির ক্ষেত্রে ক্যাশ মেমোতে অবশ্যই ক্যারেট ও ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। তবে মেশিন মেইড আমদানি করা রুপার অলংকারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অলংকারের মান নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে।

>> রুপার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বাদ দিতে হবে।

>> ভোক্তা অধিকার ও প্রতারণা রোধে রুপার অলংকারের ডিসপ্লেতে কোনোক্রমেই ইমিটেশন বা মেটাল বা গোল্ড প্লেট করা জুয়েলারি রাখা যাবে না। ইমিটেশন বা মেটাল বা গোল্ড প্লেট করা জুয়েলারি আলাদা ডিসপ্লেতে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ডিসপ্লেতে বড় ও স্পষ্ট অক্ষরে জুয়েলারির ধরন উল্লেখ করতে হবে।

>> কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী বা বাজুস সদস্য ক্রেতার কাছে ইমিটেশন বা মেটাল বা গোল্ড প্লেট করা অলংকার রুপার অলংকার বলে বিক্রি করলে ওই সদস্যের সদস্যপদ বাতিলসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>> রুপার চারটি মান ১৮, ২১, ২২ (ক্যারেট ক্যাডমিয়াম) ও সনাতন (সনাতনে ১০ আনা জমা থাকতে হবে)। এসব মানের বাইরে কোনো রুপার অলংকার বিক্রি করা যাবে না।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে সোনার দরপতন, উল্টো চিত্র দেশে 

>> রুপার অলংকার বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে গ্রামপ্রতি ২৬ টাকা মজুরি নেওয়া যাবে।

সরকারি আইন ও নির্দেশনা

>> সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে এবং বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।

>> গোল্ড (প্রকিউরমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ১৯৮৭ এর আওতায় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ডিলিং লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে এবং বছরের নির্দিষ্ট সময়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ডিলিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।

>> সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক ভ্যাট নিবন্ধন থাকতে হবে। ভ্যাট নিবন্ধন করে নিবন্ধন সনদ প্রতিষ্ঠান বা শো রুমের ভেতরে প্রদর্শন করতে হবে।

>> সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নামে টিআইএন (করদাতাদের কর শনাক্তকরণ নম্বর) সনদ থাকতে হবে এবং শো রুমের দৃশ্যমান স্থানে তা প্রদর্শনও করতে হবে।

>> ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত ও আইনি ঝামেলা এড়াতে নিজ দায়িত্বে বিএসটিআই থেকে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্র পরীক্ষা করে স্ট্রিকার ও সার্টিফিকেট নিতে হবে।

>> বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে মূল্যবান ধাতু এবং মূল্যবান পাথরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আখ্যায়িত করেছে। এজন্য কোনো গ্রাহক মূল্যবান ধাতু ও পাথর কেনা-বেচার সময় ১০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেন করলে বিএফআইইউ বরাবর গ্রাহকের লেনদেন সম্পর্কিত রিপোর্ট দিতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি কমপক্ষে পাঁচ বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

বাজুসের নির্দেশনা

>> বাজুসের সদস্যভুক্ত সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক বাজুসের স্টিকার ও হালনাগাদ সনদপত্র শো রুমের ভেতরে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

>> বাজুসের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানে স্টিকার, সনদপত্র ও আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ বাবদ ঢাকা মহানগরের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ফি ধার্য করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫০০ টাকা। জেলা ও উপজেলা শাখায় রসিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা রাখবেন এবং বাকি এক হাজার টাকা বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রদান করে রশিদ সংগ্রহ করবেন।

>> বাজুসের ভর্তি ফি ঢাকা মহানগরের আওতাধীন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ও ঢাকা মহানগরের বাইরে সারাদেশে তা দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে সোনার বড় লাফ, বাড়বে দেশেও

>> কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মিল রেখে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম বা নামের পূর্বাপর নিউ, দি বা অন্য কিছু বা বিদেশি ব্রান্ডের বিভিন্ন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত করে নতুন কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না। কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদি এ নিয়ম অমান্য করে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন তবে তার প্রতিষ্ঠানকে বাজুসের সদস্যভুক্ত করা হবে না।

>> নতুন প্রতিষ্ঠানের নামকরণের আগে বাজুসের কাছ থেকে নামের ছাড়পত্র নিতে হবে।

>> কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান যদি অন্য কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে চান, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পূর্ববর্তী দোকানের ছাড়পত্র (অনাপত্তি পত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগ দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>> সোনার অলংকার পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি বাধ্যতামূলকভাবে বহনকারীর সঙ্গে রাখতে হবে। চালানে বহনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর, সোনার ওজন, সংখ্যা ও গন্তব্য অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে এবং বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে।

এমএএস/এমকেআর/জিকেএস