আন্তর্জাতিক

২০ রুপিতে পেট ভরে খাওয়া যাবে ট্রেনে

ভারতে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ট্রেনের চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণত ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে দেশটির বড় সংখ্যার মানুষ জেনারেল কামরায় ব্যবহার করে।

Advertisement

জেনারেল কামরায় যাতায়াত করা এই সব যাত্রীদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে পিছিয়ে। তবে অল্প সংখ্যক যাত্রী সংরক্ষিত কামরায় যদি টিকিট না পায়, তাহলে জেনারেল কামরায় যাতায়াত করেন।

আরও পড়ুন>ইউক্রেনকে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনে বর্তমানে প্যান্টি কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার ফলে এসি ও স্লিপারস কোচের যাত্রীরা নিজেদের খুশি মতো খাবার অর্ডার দিয়ে খাবার পেয়ে থাকেন।

Advertisement

কিন্তু জেনারেল কোচে যে সব যাত্রীরা যাতায়ত করে থাকেন তারা এই সুবিধা পান না।

যে কারণে জেনারেল কোচের যাত্রীদের কোনো স্টেশনে ট্রেন থামলেই খাবার কেনার জন্য ছোটাছুটি করতে হতো।

এবার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বাড়ানো ও জেনারেল কোচের যাত্রীদের আরাম দেওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়।

এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের জেনারেল কোচের যাতায়াতকারী যাত্রীরা এখন থেকে তাদের যাত্রার সময় সাশ্রয়ী খাবার ও পানীয় জলের প্যাকেটের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইকোনমি মিল’।

Advertisement

আরও পড়ুন>মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে ১৩ জনের প্রাণহানি

যেখানে এবার থেকে ২০০-৩০০ রুপির বদলে মাত্র ২০ রুপিতে পাওয়া যাবে ভরা খাবার। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

পূর্ব রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহসহ মোট ৮টি স্টশনে জেনারেল কোচের সামনে এই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিয়ালদহসহ দুর্গাপুর, আসানসোল, হিজলি, খড়গপুর, রামপুরহাট, নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার স্টেশনে আপাতত পাওয়া যাবে এই সুবিধা।

রেলের ২০ রুপিতে ‘ইকোনমি মিল’-এ থাকবে ৭টি পুরি বা লুচি, আলুর দম অথবা আলু দিয়ে কোনো তরকারি ও আচার। আপাতত এই সেবা রাজস্থানের উদয়পুরে সিটি স্টেশনে শুরু হয়েছে।

এছারাও ৫০ রুপিতে আপনি কম্বো খাবার নিতে পারেন। যাতে থাকবে ভাত, ডাল, খিচুড়ি, কুলচা, রাজমা, ছোলার একটা তরকারি, ছোলে-ভাটুরে, মশালা দোসা ইত্যাদি দেওয়া হবে। এই খাবারে সঙ্গে ২০০ মিলি লিটারের প্যাকেজ করা পানি দেওয়া হবে যার মূল্য রাখা হয়েছে ৩ রুপি।

এই বিষয়ে সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুনীল কুমার মাহলা বলেন, দূরপাল্লার ট্রেনে সাধারণ শ্রেণীর কোচে যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ভারতীয় রেলওয়ে সস্তা খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের খাবার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি, এটি তারাহুরো করে ট্রেনে ওঠা-নামার সময় অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া ট্রেনের দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমে যাবে।

ডিডি/এমএসএম