তামিম ইকবাল শতভাগ ফিট ছিলেন না। তারপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছিলেন। যা নিয়েই শুরু হয় তুলকালাম। যার জেরে হুট করে অবসর নেওয়া, তারপর প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ফেরা।
Advertisement
অবশেষে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তামিম। দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তামিম বললেন, তিনি ফিট ছিলেন বলেই মাঠে নেমেছিলেন, এটা নিয়ে ইস্যু তৈরি করা ঠিক হয়নি।
তামিম বলেছিলেন, ‘আমি শতভাগ ফিট নই, তবে ম্যাচটি খেলতে চাই।’ তামিমের এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মিডিয়ার সামনে তামিমকে নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তামিমের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
যদিও তামিম বলছেন, ফিট না হয়ে মাঠে নেমে পড়া নিয়ে যা হয়েছে সেটা কিছুতেই হওয়ার দরকার ছিল না। একটি গণমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে পেছনের পুরো গল্পটা বলব না। কিন্তু আপনার কী মনে হয়, কেউ জোর করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একাদশে খেলতে পারে? আপনি অধিনায়ক বা তারকা খেলোয়াড়, যেই হোন। ধরুন কোচ বললো- তুমি খেলবে না। টিম ম্যানেজেম্যান্ট বললো- খেলবে না। মেডিকেল টিম বললো-তুমি ফিট না। তারপরও আপনি জোর করে মাঠে নেমে যেতে পারবেন? এটা সম্ভব?’
Advertisement
ওয়ানডে অধিনায়ক যোগ করেন, ‘শতভাগ ফিট হওয়া আর ফিটনেস টেস্টে পাস করা কি এক জিনিস? বিশ্বের কজন ক্রিকেটার শতভাগ ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে খেলে? খেলোয়াড়দের টুকটাক চোট থাকেই। অনেক সময় ৮০ ভাগ ম্যাচ ফিট হয়েও খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে পড়ে। যখন আমি বলেছি, আমি শতভাগ ফিট নই কিন্তু খেলব। এটার মানে হলো, আমি খেলার জন্য ফিট, কিন্তু সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজম্যান্টের। যদি একজনও আমার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে থাকতো, তবে ভিন্ন কথা ছিল। এটা দলের সিদ্ধান্ত ছিল। আমি খেলার মতো যথেষ্ট ঠিক ছিলাম, তাই এই ইস্যু নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।’
তামিম আবারও মনে করিয়ে দেন, তার অবসরের পেছনে বিসিবি সভাপতির মন্তব্যই মূূল কারণ ছিল না। দেশসেরা ওপেনার বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই, বোর্ড সভাপতির ওই মন্তব্যের কারণে অবসর নেইনি। তবে হ্যাঁ, তার মন্তব্যটা ভালো ছিল না। কিন্তু এটা কারণ নয়।’
এমএমআর/
Advertisement