মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার চীন সফরে গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে বেঠক করেছেন সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক।
Advertisement
সেখানে শি জিনপিং কিসিঞ্জারকে বলেছেন, তার মতো পুরোনো বন্ধুকে কখনোই ভোলা যায় না। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যখন বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন চীনে কিসিঞ্জারের এই সফর। যদিও বেইজিং ও ওয়াশিংটন সর্ম্পক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট সাবেক কূটনীতিককে বলেন, ফের চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ক্রোসরোডের মুখোমুখি। এখান থেকে দুই পক্ষকেই গন্তব্য ঠিক করতে হবে।
আরও পড়ুন>ফের কোরআন পোড়ালে সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ইরাক
Advertisement
কিসিঞ্জার ১৯৭০-এর দশকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তখন তিনি প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কিসিঞ্জার সম্প্রতি তার ১০০তম জন্মদিন উদযাপন ও শতাধিকবার চীন সফর করেছেন। কিন্তু শি বলেছেন, তার এবারের সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শি জিন পিং বলেন, চীনা জনগণ তাদের পুরোনো বন্ধুদের কখনই ভুলে যায় না ও চীন-মার্কিন সম্পর্ক সব সময় হেনরি কিসিঞ্জারের নামের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন>রাশিয়ার সতর্কবার্তায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লো গম-ভুট্টার দাম
Advertisement
চীনে কিসিঞ্জারের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দায়িত্ব ছাড়ার পর তিনি নিয়মিত বিরতিতে চীন সফর করতেন। এবার এমন এক জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে তিনি প্রথম সফরে এসে চীনা নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানিয়েছে, এই দুই দেশের সম্পর্ক বিশ্ব শান্তি ও মানব সমাজের অগ্রগতির বিষয়।
বৈঠকে কিসিঞ্জার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংহাই কমিউনিক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলো বজায় রাখা, এক-চীন নীতিকে চীন যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় তার প্রশংসা করা এবং সম্পর্ককে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাওয়া অপরিহার্য।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশের অগ্রগতি ও সঠিক পথের জন্য বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।
এমএসএম