মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে টিসিবির চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন উপকারভোগীরা। পাঁচ কেজি চাল কেনার পর ওজন করে সেখানে সাড়ে চার কেজি পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টিসিবি ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির চাল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু হয়।
এদিকে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানান। এ সময় ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে অবস্থান নেওয়া ডিলারের লোকজনের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। অতিদরিদ্র মানুষের ঘাম ঝরানো টাকায় কেনা চাল ওজনে কম দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের মাঝে।
ভুক্তভোগী আড়পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ নজিম উদ্দীন বলেন, গরিব মানুষ, তাই টিসিবি থেকে কম মূল্যে চাল কিনেছি। পাঁচ কেজি চালের দাম পরিশোধ করি। তবে চাল ওজন না করে একটি বালতিতে আনুমানিক ওজন হিসাবে আমার ব্যাগে ঢেলে দেওয়া হয়। কম দেওয়া হয়েছে সন্দেহ হলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের একটি দোকানে ডিজিটাল স্কেলে ওজন করি। তখন দেখি আধা কেজি কম।
Advertisement
একই অভিযোগ করেন শানঘাট গ্রামের নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, একসঙ্গে আমরা দুজনের ১০ কেজি চাল কিনি। বাইরে গিয়ে মেপে দেখি ১০ কেজি চালে এক কেজি ৪০০ গ্রাম কম। বিষয়টি ডিলারকে বললেও তিনি কানে নেননি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধানখোলা ইউনিয়নের টিসিবি ডিলার মাহিন ট্রেডিং কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী মুস্তাকিম বিল্লাহ।
অতিদরিদ্র এসব মানুষ রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লম্বা লাইন দিয়ে টিসিবির পণ্য কেনেন। এরকম মানুষের সঙ্গে ডিলারের ওজন প্রতারণায় তীব্র প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের লোকজন। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টিসিবি ডিলার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের না। পরিষদ ভবন শুধুমাত্র পণ্য বিক্রিতে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে ওজন কম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হবে।
Advertisement
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, ওজন প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএ/জেআইএম