প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত। কিন্তু একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়।
Advertisement
এরই মধ্যে এআইয়ের ব্যবহার শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এমনকি খবর পড়ছে এআই। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘অপরাজিতা’ নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এক সংবাদ উপস্থাপিকা সংবাদ পড়ে হতবাক করেছে সবাইকে। কিছুদিন আগে ভারতেও একজন এআই সংবাদ উপস্থাপিকা ‘সানা’ কে দেখা যায় খবর উপস্থাপনা করতে।
২০১৮ সালে চীনের শিনহুয়া বার্তা সংস্থা চালু করেছিল বিশ্বের প্রথম এআই পরিচালিত সংবাদপাঠক। এতে ব্যবহার করা হয়েছিল কম্পিউটার গ্রাফিকস। কিন্তু চলতি বছর সংস্থাটি প্রকাশ্যে এনেছে তাদের প্রথম এআই-পরিচালিত সংবাদপাঠিকা। গত মাসে রাশিয়ার সভয়ে টিভি তাদের প্রথম ভার্চুয়াল আবহাওয়া উপস্থাপক হিসেবে ‘স্নেজানা তুমানোয়া’কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওজন কমানোর টিপস দেবে চ্যাটজিপিটি
Advertisement
এআইএর ব্যবহার যেমন কাজকে সহজ করছে, তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে নানান পেশা। গবেষকরা বলছেন এআই ব্যবহারে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবে অনেক পেশা। এর মধ্যে আছেন সাংবাদিকরাও। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুলের ফিউচার অব ওয়ার্ক বিভাগের পরিচালক কার্ল বেনেডিক্ট ফ্রে বলেছেন, একমাত্র যে বিষয় সম্পর্কে আমি নিশ্চিত তা হচ্ছে, জেনারেটিভ এআই’র মাধ্যমে কত চাকরি প্রতিস্থাপিত হবে তা জানার কোনো উপায় নেই।
‘উদাহরণস্বরূপ, চ্যাটজিপিটি যা করে তা হলো, গড়পরতা লেখার দক্ষতা সম্পন্ন আরও বেশি লোককে রচনা ও নিবন্ধ তৈরি করতে দেয়৷ এতে সাংবাদিকরা আরও প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন। আগামী কয়েক বছরে সৃজনশীল কাজে বিস্তৃত প্রভাব ফেলতে পারে জেনারেটিভ এআই।’
এছাড়াও ট্রান্সলেটর থেকে শুরু করে ব্যাংকার, ডাটা এন্ট্রি ক্লার্ক, কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ, প্রুফরিডার, বই কিপার, কপিরাইটার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, কোডার এবং তথ্য বিশ্লেষক, মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, টেলিমার্কেটার, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্রতিলিপিবিদ, ট্রাভেল এজেন্ট, প্রাইভেট টিউটর, টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্ট, ই-মেইল মার্কেটার, নিয়োগকারী, মডারেটর, গুদাম কর্মী, ট্যাক্সি ও উবার ড্রাইভার, গাড়ি মেকানিক, অ্যাসেম্বলি লাইন কর্মী, গভীর সমুদ্রের ডুবুরি, লাইব্রেরিয়ান, এমনকি এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলাররাও চাকরি হারাতে পারেন এআই-এর কারণে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
Advertisement
কেএসকে/জেআইএম