ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে যেতে আগে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা। দেশের প্রধান এ রেলপথে বর্তমানে প্রতিদিন ২৩টি ট্রেন চলে। তবে ডাবল লাইনে উন্নীত হওয়ায় এখন থেকে ৭২টি ট্রেন চলতে পারবে।
Advertisement
নতুন এই লাইনে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে ট্রেন। আর ৬০ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে মিটারগেজ ট্রেন ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। মহানগর ও চট্টলা এক্সপ্রেসে আগে সাড়ে ৬ ঘণ্টা লাগলেও দেড় ঘণ্টা কমে এখন ৫ ঘণ্টায় চলাচল করতে পারবে। ফলে ট্রেনের যাত্রাপথ কমার পাশাপাশি একটি ট্রেন দিয়ে একাধিকবার চলাচলের সুযোগও তৈরি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বর্তমানে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস নন-স্টপ সার্ভিস দেয়। ট্রেন দুটির যাত্রাপথে লাগে সোয়া পাঁচ ঘণ্টা। সেটি কমে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় চলাচল করতে পারবে।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আখাউড়া- লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পে এডিবি প্রায় ৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রার দিন কাউন্টারে মিলবে ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট
Advertisement
সর্বশেষ ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয় বিভিন্ন সময়ে মোট ৫ বার। পরবর্তী সময়ে মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তবে সময় বাড়লেও সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় কমে হচ্ছে ৫ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৯২১ কোটি টাকা কমতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২১ কিলোমিটার পুরোটাই দুই লেনে উন্নীত হওয়ায় ৩৬ জোড়া থেকে বেড়ে ৭২ জোড়া ট্রেন চলতে পারবে। দুই লাইন চালু হলে কোনো ট্রেনের ক্রসিং দিতে হবে না। ফলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সময় ও ব্যয় কমবে। রেলও লাভবান হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ১২৪ কিলোমিটার ব্রিটিশ আমলেই ডাবল লাইন ছিল। আর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার ডাবললাইন চালু হয়েছে।
Advertisement
আরএসএম/এমএইচআর/এএসএম