শিক্ষা

শিক্ষকদের অনুপস্থিতি তদারকির নির্দেশ মাউশির

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের তদারকিসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও স্থানীয় প্রশাসনকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মাউশি সূত্র বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে ঢাকায় জাতীয়করণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। তাদের আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরানোর জন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সড়ক অবরোধ করে শিক্ষকদের বিক্ষোভ, যানজটে ভোগান্তি

Advertisement

এতে বলা হয়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন; যেমন- প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি, শিক্ষাপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর। এরমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি।

দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনো নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ সার্বিক নজর দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: টানা ৮ দিন অবস্থান কর্মসূচিতে বেসরকারি শিক্ষকরা

Advertisement

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রতিপালন নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো-

>> প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে।

>> শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন।

>> কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা।

>> সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে কোনো ধরনের মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশ না নেওয়া।

>> শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

এসব নির্দেশনাসমূহ পালনে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে মাউশি।

এএএইচ/এমকেআর/এএসএম